রেল লাইনের ধার থেকে রবিবার গভীর রাতে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক যুবককে। পরে এন আর এসে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ নিউ গড়িয়া ও বাঘা যতীন স্টেশনের মাঝে। মৃতের নাম কৈলাস ওরফে সুমন দাস (২১)। বাড়ি বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার সুকান্তনগরে। রেল পুলিশ জানায়, রেল লাইন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী লোকেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা গিয়ে দেখে, সুমন রেল লাইনের পাশে পড়ে। পাশে বসে এক কিশোরী। রেল পুলিশের দাবি, মেয়েটি তাদের জানিয়েছে, সুমন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রবিবার সুমনের সঙ্গে সে নিউ গড়িয়া স্টেশনের পাশে বেড়াতে যায়। তারা লাইন ধরে বাঘা যতীনে ফিরছিল। দাঁড়িয়ে জল খাওয়ার সময়ে পিছন থেকে লোকাল ট্রেন সুমনকে ধাক্কা মারে।
রেল পুলিশ জেনেছে, দুর্ঘটনার কথা ওই কিশোরীই দুই পরিবারকে ফোনে জানায়। কিশোরীর অভিযোগ, স্থানীয়দের সাহায্য চেয়েও পায়নি সে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুমন সেক্টর ফাইভের একটি সংস্থায় কাজ করত। তাঁর বাবা সুদাম দাস ব্যবসায়ী। সুমনের পরিবারের অভিযোগ, কিছু দিন ধরে ওই কিশোরীর কিছু আত্মীয় সুমনকে তাদের সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে ফোনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অভিযোগ, রবিবার বিকেলে ওই কিশোরী সুমনকে ফোন করে ডাকে। তার পরেই ওই ঘটনা। সুমনের পরিজনেরাও যাদবপুর রেল পুলিশ থানায় যোগাযোগ করেন। সুমনকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে অভিযোগ করে প্রকৃত তদন্তের দাবি জানান সুমনের পরিজনেরা। ময়না-তদন্তের পরে ও রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে রেল পুলিশের অনুমান, শিয়ালদহমুখী ট্রেনের ধাক্কায় সুমনের মৃত্যু হয়। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ গড়িয়ার স্টেশন মাস্টার রেল কর্তৃপক্ষ ও রেল পুলিশকে জানান, নিউ গড়িয়া ও বাঘা যতীন স্টেশনের মাঝে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এক যুবককে ট্রেন ধাক্কা মারে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।