Advertisement
E-Paper

স্কুলের বিরুদ্ধে খুনের মামলায় রাজন্যর পরিবার

ছেলে মারা যাওয়ার দু’দিনের মধ্যে স্কুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল রাজন্যর পরিবার। শনিবার দুপুরে বাঘা যতীনের ফ্ল্যাটে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই কথাই জানান সাউথ পয়েন্ট স্কুলের মৃত ছাত্রের বাবা-মা। রাজন্যর বাবা রাজা সরকার এ দিন জানান, তাঁরা শুক্রবার রাতেই গড়িয়াহাট থানায় নতুন করে এফআইআর করতে গিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৪ ০১:২২

ছেলে মারা যাওয়ার দু’দিনের মধ্যে স্কুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল রাজন্যর পরিবার। শনিবার দুপুরে বাঘা যতীনের ফ্ল্যাটে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই কথাই জানান সাউথ পয়েন্ট স্কুলের মৃত ছাত্রের বাবা-মা।

রাজন্যর বাবা রাজা সরকার এ দিন জানান, তাঁরা শুক্রবার রাতেই গড়িয়াহাট থানায় নতুন করে এফআইআর করতে গিয়েছিলেন। তবে, পুলিশ এফআইআর নেয়নি। এ প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য, রাজন্যর মৃত্যুর পরে স্কুলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এ ধারায় গাফিলতির জেরে মৃত্যুর মামলা শুরু করা হয়েছে। আগেই এক বার এফআইআর নেওয়া হয়ে যাওয়ায় তা আর দ্বিতীয় বার নেওয়া হয়নি।

তবে, শুক্রবার রাতে ওই পরিবারের করা অভিযোগ আগের মামলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজন্যর বাবা-মা থানায় অভিযোগে জানান, তাঁদের ছেলের মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য লোপাট করার চেষ্টা করেছেন স্কুল-কর্তৃপক্ষ। শ্মশান ঘাটে এসে স্কুল-কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেছেন বলে জানিয়েছে ওই পরিবার। এ ছাড়া, স্কুল-কর্তৃপক্ষ রাজন্যর মৃত্যু সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য দিচ্ছেন, তা প্রমাণ করার দাবিও তুলেছেন তাঁর বাবা রাজা সরকার। তিনি বলেন, “আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। স্কুলের অধ্যক্ষ দলবীর কউর চাড্ডা, ডিরেক্টর মধু কোহলি, ট্রাস্টি কৃষ্ণা দামানি, স্কুলের গানের শিক্ষক ও নার্সের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা চাই পুলিশ ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।”

রাজন্যর বাবা-মাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন স্কুল-কর্তৃপক্ষ। স্কুলের তরফে কৃষ্ণা দামানি এ দিন বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। এ কথা ঠিক যে স্কুলের দু’জন প্রবীণ শিক্ষক শ্মশানঘাটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা শুধুমাত্র রাজন্যর শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার জন্যই। তাঁরা কোনও ভাবে ওই পরিবারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেননি।” তিনি আরও বলেন, “ওই পরিস্থিতিতে যা করা সম্ভব ছিল, আমরা করেছি। রাজন্যর মৃত্যুতে পরিবারের সঙ্গে আমরাও শোকাহত। তবে তাঁরা যে সব মিথ্যে অভিযোগ আনছেন, তাতে আমরা খুবই হতাশ এবং দুঃখিত।”

যে নার্সিংহোমে রাজন্যর মৃত্যু হয়েছিল, এ দিন দুপুরে সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। সেখান থেকে রাজন্যর স্কুলে যায় তারা। স্কুলের যে শিক্ষক এবং নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

school children rajonno south point
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy