রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। — ফাইল চিত্র।
বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) সদস্য হিসেবে প্রত্যাশিত ভাবেই মনোনীত করা হল রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে। এর পরবর্তী ধাপে তাঁকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হতে পারে বলে পরিষদীয় সূত্রের খবর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দলত্যাগী’ কৃষ্ণকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হলে তাঁরা ফের আদালতে যাবেন। যেমন হয়েছিল মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পিএসি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুকুল। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানিয়েছেন, পিএসি-তে শূন্য পদের জন্য পদ্ধতি এবং আইন মেনে তিনি কৃষ্ণকে মনোনীত করেছেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে জিতলেও পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতা। এমন বিধায়ককেই পিএসি-তে কেন? স্পিকারের বক্তব্য, ‘‘কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপির সদস্য। বাইরে কী করেছেন, আমার দেখার বিষয় নয়। আমার কাছে কোনও তথ্য-প্রমাণ আসেনি যে, তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দিয়েছেন। কাকে চেয়ারম্যান করব না-করব, সেটা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে।’’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর পাল্টা মত, ‘‘নবান্নের কথায় এগুলো হচ্ছে। মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে যেমন হয়েছিল। চেয়ারম্যান ঘোষণা হলে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। বিধানসভায় আমাদের বলা হয়, ছোট ছোট ব্যাপারে আমরা কোর্টে যাই। দলত্যাগ-বিরোধী আইনে শুনানি চলছে, তাঁকেই বেছে নিতে হবে! এ রকম যত বার করবে, আমাদের আদালতেই যেতে হবে।’’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও মন্তব্য, ‘বিধানসভার জন্য আর একটা কালো দিন! বিরোধী দল যাকে মনোনীত করেনি, তাকে বিরোধী দলের সদস্য হিসেবেই মনোনয়ন দেওয়া হবে! স্পিকারের দফতর কি দলত্যাগী খুঁজে বেড়াবে? স্পিকারের দফতর কলুষিত হচ্ছে, সংবিধানের অমর্যাদা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy