কলকাতায় প্রয়াত ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মরদেহ দ্রুত ত্রিপুরায় তাঁর পরিজনদের কাছে পাঠাতে উদ্যোগী হল বাংলার শাসক তৃণমূল। যে ঘটনা পরিস্থিতি বিশেষ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। কারণ, একদিকে যেমন ত্রিপুরার দিকে ‘বিশেষ নজর’ দিয়েছে তৃণমূল। তেমনই সেখানকার শাসক বিজেপি-র বিরুদ্ধে তৃণমূলের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিপিএমের শাসনকালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী-থাকা মানিক সরকার। ত্রিপুরা থেকে বিজেপি তথা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারকে উৎখাত করতে ভবিষ্যতে তৃণমূল-সিপিএম কোনও সমঝোতায় যাবে কি না, তা এখনও সময়ের গর্ভে। তবে দু’পক্ষের মধ্যে যে একটা আন্দোলনগত সমঝোতা তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট। সেই আবহেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের প্রয়াণে তৃণমূলের উদ্যোগও উল্লেখযোগ্য।
কলকাতার ই এম বাইপাসের লাগোয়া একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ। তিনি কোভিডে ভুগছিলেন। তবে সেরেও গিয়েছিলেন। তবে বুধবার তাঁর আরও একবার কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তার ফলাফল জানানর আগেই গৌতম মারা যান। সেখানেই সমস্যা দেখা দেয। কারণ, গৌতমের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁর দাহসংস্কার কলকাতাতেই করতে হবে। কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ না হলে দেহ ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। কিন্তু দ্রুত কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট না-পেলে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া যাচ্ছিল না।