গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
সুমনের ফোনালাপ-বিতর্ক থেমেও থামছে না। কবীর সুমনের পরপর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আবার সরব কুণাল ঘোষ। ‘কবীর সুমন- এই তোমাকে চাই না’ শীর্ষক পোস্টে আবেদন করলেন, এ বার ক্ষমা চেয়ে বিতর্কে ইতি টানুন সুমন।
রবিবার দুপুরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল নিজের নেটমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। তাতে কুণালের আপত্তি, সুমনের শব্দচয়ন নিয়ে, সুমনের টেলিফোন রেকর্ড করার কথা না জানার দাবি নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশন চ্যানেলটির সম্পাদকীয় গতিপ্রকৃতি নিয়ে।
বিতর্কিত টেলিফোন কথোপকথনটির দিকে ইঙ্গিত করে সর্বশেষ পোস্টে কুণাল কবীর সুমনকে অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘বার বার পোস্ট করে কথা বাড়ানো কি খুব দরকার?’ পাশাপাশি সরাসরি সুমনকে উদ্দেশ করে দাবি করেছেন, ‘আপনার আপত্তিকর শব্দপ্রয়োগে আসল ক্ষোভের কারণই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।’ অর্থাৎ, ক্ষোভের কারণ যে আছে, তা অস্বীকার না করেও সুমনের আপত্তিকর শব্দপ্রয়োগের দিকেই নিশানা করেছেন শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর আবেদন, ‘কবিতা ও গানের শব্দের জাদুকর সুমন ওই শব্দ ব্যবহারে ক্ষমা চেয়ে বিতর্ক শেষ করুন।’
‘কবীর সুমন- এই তোমাকে চাই না।’ শীর্ষক পোস্টে কুণাল লেখেন, ‘টেলিফোন রেকর্ড করল, বা কে করল না, সেটা বড় কথা নয়। এসব ওঁকে মানায় না। এই সুমন চট্টোপাধ্যায়- তোমাকে চাই না। এতে প্রতিপক্ষের সস্তা রাজনীতিরই প্রসারের অবকাশ থাকে।’
কুণাল তাঁর নাতিদীর্ঘ ফেসবুক পোস্টের এক জায়গায় লিখেছেন, ‘কবীর সুমনকে অনুরোধ, বারবার পোস্ট করে কথা বাড়ানো কি খুব দরকার? বাংলা এবং বাঙালি-সহ কোনও সুস্থ মানুষ আপনার ওই শব্দপ্রয়োগ সমর্থন করছেন না। আপনার ক্ষোভ, আপনার যুক্তি অনেকেই সমর্থন করছেন। কিন্তু আপনার আপত্তিকর শব্দপ্রয়োগে আসল ক্ষোভের কারণই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।’ সব শেষে কুণাল আশা করেন, সংশ্লিষ্ট পোস্টেই বিতর্কের ইতি টানবেন শিল্পী। তিনি লেখেন, ‘যে শব্দ ব্যবহার হয়েছে, তা নিন্দার। প্রতিবাদের। কবিতা ও গানের শব্দের জাদুকর সুমন ওই শব্দ ব্যবহারে ক্ষমা চেয়ে বিতর্ক শেষ করুন। আশা করি, শেষ পোস্টটিতে যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন, যতই ভাষার মারপ্যাঁচ থাকুক, তাতেই আন্তরিকভাবে ইতি টানলেন আপনি।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy