Advertisement
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Kuntal Ghosh

‘ইডির বস্‌’ শুভেন্দুর ফোন পরীক্ষার দাবি কুন্তলের! বললেন, বিজেপির ক্যাডার হয়ে কাজ করছে সংস্থা

শুক্রবার কুন্তল বলেন, “ইডি বিজেপির ক্যাডার হয়ে কাজ করছে।” তার পরই ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তাঁরা পাবলিক সার্ভেন্ট। তাঁদের বস্ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী নন।”

Kuntal Ghosh claimed ED has been controlled by Suvendu Adhikary

শুভেন্দু অধিকারী (বাম দিকে) এবং কুন্তল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ১৬:৪৪
Share: Save:

ইডির কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! শুক্রবার এমনই অভিযোগ করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি কুন্তল ঘোষ। তাঁর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ফোন পরীক্ষা করারও দাবি তুলেছেন কুন্তল। তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থা হলেও ‘বিজেপির ক্যাডার’ হিসাবে কাজ করছে ইডি। তাঁর যে বয়ান ইডি আদালতে পেশ করেছে, তা মিথ্যা বলেও দাবি করেছেন কুন্তল। শুক্রবার সকালেই আদালতে যাওয়ার আগে কুন্তল বলেছিলেন, “ইডি মিথ্যা কথা বলছে। তদন্তকে ভুল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।” একই সঙ্গে ইডির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ইডির যদি ক্ষমতা থাকে, আমার স্টেটমেন্টটা (বক্তব্য) আদালতে পেশ করা হোক।”

শুক্রবার কুন্তল বলেন, “ইডি বিজেপির ক্যাডার হয়ে কাজ করছে।” তার পরই ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তাঁরা পাবলিক সার্ভেন্ট। তাঁদের বস্ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী নন।” এর পাশাপাশি শুভেন্দুর ফোন পরীক্ষা করার দাবি তুলে তিনি বলেন, “৩০ মে তিনি কত বার ইডি অফিসারদের ফোন করেছেন, তা তাঁর ফোন চেক করে দেখা হোক।” জেলে থেকেও এই ফোন করার বিষয়টি তিনি কী ভাবে জানতে পারলেন, এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দেননি কুন্তল। কুন্তলের অভিযোগ প্রসঙ্গে নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “ক্রিমিনালদের কথার কোনও জবাব দেওয়া উচিত নয়। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা চোর, ধাপ্পাবাজ, ক্রিমিনাল কুন্তল ঘোষ নিজে বাঁচতে এবং দলকে বাঁচাতে নানা জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন।”

আদালতে ইডির তরফে দাবি করা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি এবং ২ ফেব্রুয়ারি আর্থিক তছরুপ নিয়ন্ত্রক আইনের ৫০ নম্বর ধারা অনুসারে কুন্তলের যে বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়, তাতে তিনি জানান, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে বেআইনি ভাবে টেট পাশ করিয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করাতে চেয়েছিলেন কুন্তল। সুজয় তখন কুন্তলকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছিলেন, পার্থের সঙ্গে কথা বললেই কাজ হয়ে যাবে। এই সময়ে কুন্তল ৭০ লক্ষ টাকা দেন সুজয়কে। সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে দেন আরও ১০ লক্ষ টাকা, দাবি ইডির। শুক্রবার কুন্তলের দাবি, তাঁর মিথ্যা বয়ান আদালতে পেশ করছে ইডি। ‘কালীঘাটের কাকু’কে তিনি কোনও টাকা দিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে কুন্তলের সংক্ষিপ্ত জবাব ‘না’। এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে।” শুক্রবার আদালত থেকে বেরোনোর সময় কুন্তল বলেন, “যদি তদন্ত সঠিক ভাবে এগোয়, তবে শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালা রাখাল বেড়াকে গ্রেফতার করা হোক। রাখাল বেড়া কে, এই প্রশ্নের উত্তরে কুন্তল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে টাকা তুলত।” কী কারণে ওই ব্যক্তি টাকা তুলতেন, তা তদন্ত করলেই বোঝা যাবে বলে দাবি করেন কুন্তল। গোপাল দলপতি এখনও কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুন্তল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE