ফাইল চিত্র।
কল্যাণী এমসে চাকরি দেওয়ার নামে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এমসের কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রতারণার জাল বিছানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে।
এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নদিয়ার কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেছেন, এমসে চাকরির জন্য তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। কল্যাণী ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা সমিতা তরফদার, শিক্ষিকা জানান, জুলাইয়ে এমসে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি-সহ একটি ফোন নম্বর তাঁর মোবাইলে আসে। এমসের কর্মী পরিচয় দিয়ে তিন জন যোগাযোগ করেন। জানানো হয়, এই চাকরির ক্ষেত্রে বয়স বাধা নয়। তাঁর ‘ইন্টারভিউ’ও নেওয়া হয়।
সমিতার অভিযোগ, তিন জনের মধ্যে দু’জন তাঁর কাছ থেকে দু’ধাপে পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা ঋষি গুপ্ত, ইউসেফ আলি মণ্ডল এবং সৌরভ পান্ডার নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেয়। ডাকে কয়েকটি রসিদও পাঠানো হয়, যাতে এমসের ‘এইচআর ডিপার্টমেন্ট’ কথাটি উল্লেখ করা ছিল। ডাকঘরের ছাপ থেকে জানা যাচ্ছে, এমস যেখানে, সেই কল্যাণীর বসন্তপুর থেকেই রসিদগুলি ডাকে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুরো টাকার রসিদ আসেনি। বলা হয়, আরও এক লক্ষ টাকা দিলে বাকি রসিদ এক সঙ্গে দেওয়া হবে, চাকরিও হয়ে যাবে।
সমিতার সন্দেহ হওয়ায় সেই সব রসিদ নিয়ে তিনি এমসে যান। তাঁর দাবি, ফটকেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকান এবং কাগজপত্র দেখে জানান যে সে সব ভুয়ো। গত ৪ অগস্ট তিনি ঋষি, ইউসেফ ও সৌরভের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। যারা তাঁকে ফোন করছিল, তাদের মধ্যে দু’জনকে ফোন করা হলে তারা ফোন ধরেনি। আর এক জন ফোন ধরে এমসের কর্মী পরিচয় দিয়ে ধরে জানায়, নিয়োগের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল এবং যারা এমস কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছে, তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কল্যাণী, হরিণঘাটা, গয়েশপুর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে বলে কিছু সূত্রে খবর এসেছে। কল্যাণী এমসের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা রামজি সিংহ বলেন, “আমরাও চাইছি, যাতে এ রকম না ঘটে। বিষয়টা স্পষ্ট হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy