চিঠির প্রেরক হিসেবে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের দু’জনের নাম ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব এবং বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি-চিঠিটি স্পিড পোস্টের মাধ্যমে ‘বুক’ করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বসু রোড ডাকঘরে। হুমকি-চিঠির তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে লালবাজার। তবে রাজ্য প্রশাসনের ওই সদ্য-প্রাক্তন শীর্ষ আমলাকে হত্যার হুমকি কেন, সেই রহস্য এখনও ভেদ করা যায়নি।
পুলিশি সূত্রের খবর, ডাকঘর থেকে বেলা আড়াইটে-৩টের মধ্যে ওই চিঠি পাঠানো হয়। তখন ১০ জনেরও বেশি ওই ডাকঘর থেকে স্পিড পোস্ট ‘বুক’ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওই হুমকি-চিঠির প্রেরক কে, তা জানতে জিপিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। দক্ষিণ কলকাতার ওই ডাকঘরে স্পিড পোস্ট যেখানে ‘বুক’ করা হয়, সেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। অগত্যা তদন্তকারী অফিসারেরা ওই ডাকঘরের বাইরে একটি বেসরকারি সংস্থার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন।
মঙ্গলবার ওই হুমকি-চিঠি পান আলাপনবাবুর স্ত্রী তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে লেখা ছিল, ‘আপনার স্বামীকে খুন করা হবে। কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারবে না।’ চিঠির নীচে প্রেরক হিসেবে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের দু’জনের নাম থাকায় মঙ্গল ও বুধবার তদন্তকারীরা সেখানে যান। পুলিশ ওই দু’জনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, কেউ নিজেকে
প্রচ্ছন্ন রাখার জন্যই তাঁদেরনাম এবং কর্মস্থলের উল্লেখ করে ওই চিঠি পাঠিয়েছে। সেটির প্রকৃত প্রেরক কে, তা জানতে বিজ্ঞান কলেজ, ওই ডাকঘর এবং জিপিও বা প্রধান ডাকঘরে দৌড়ঝাঁপ চলছে তদন্তকারী অফিসারদের।