Advertisement
E-Paper

সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩১০ কিমি দূরে অবস্থান ‘ডেনা’র! ‘ল্যান্ডফল’ মধ্যরাতেই, আর কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?

আবহাওয়া দফতরের দুপুরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বর্তমানে বাংলার সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়়টি। শেষ ছ’ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার এগিয়েছে ‘ডেনা’।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০২
‘ডেনা’র প্রভাবে সকাল থেকেই দুর্যোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার বালেশ্বরে।

‘ডেনা’র প্রভাবে সকাল থেকেই দুর্যোগ। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার বালেশ্বরে। ছবি: রয়টার্স।

ক্রমশ স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়া ‘ডেনা’। আবহাওয়া দফতরের দুপুরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বর্তমানে বাংলার সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়়টি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বঙ্গোপসাগরের উপরে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার করে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। সেই হিসাবেই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে সেটি। তবে এই আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত চলতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভাব্য যে এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে, সেই ধামারা বন্দর থেকে ২৪০ কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বুধবার মধ্যরাতেই শক্তি বাড়িয়ে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হয়েছে ‘ডেনা’। মনে করা হচ্ছে, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ হিসাবেই সেটি আছড়ে পড়তে চলেছে স্থলভাগে।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দু’দিনই অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। দিনভর ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশেও।

তবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রাবল্য কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ওই দিন কেবল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি খুইয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি।

বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। সেই সময় উত্তর ওড়িশা এব‌ং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়াতেও হাওয়ার ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ৮০ কিলোমিটার।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত উত্তাল থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দুর্যোগের জেরে কাঁচা বাড়িগুলি ভেঙে পড়তে পারে। জোয়ার এবং সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতাও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

Cyclone Dana Cyclone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy