—প্রতীকী ছবি
দেশে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের জমানার অবসান ঘটাতে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে’র ডাক দিল বামেরা। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে ওই দিনটিকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস’ আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তির দিনে প্রধানমন্ত্রীর ওই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা ডাক দিয়েছে বামেরা।
বাবরি ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে রবিবার জেলায় জেলায় নানা কর্মসূচি নিয়েছিল বাম দলগুলি। কলকাতায় সভা ছিল মৌলালি যুব কেন্দ্রে। সেখানেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রশ্ন তোলেন, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের এক জন প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চলে গেলেন? কী হিসেবে গেলেন?’’ সূর্যবাবু-সহ অন্য বাম নেতাদেরও বক্তব্য, অযোধ্যা-মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মন্দির গড়ার তত্ত্বাবধানের ভার দিয়েছে একটি অছি পরিষদকে। তা হলে সেখানে প্রধানমন্ত্রী কেন? সূর্যবাবুর বক্তব্য, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের কোনও সরকার শ্রমিক, কৃষক-সহ সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার উপরে এমন আক্রমণ নামিয়ে আনেনি। তাঁর অভিযোগ, মোদীর সরকার দেশের গণতান্ত্রিক, যুক্তরাষ্ট্রীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো— কোনও কিছুই মানে না। এই জমানার অবসানের জন্য গণতন্ত্রপ্রিয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সব মানুষকে নিয়ে সর্বাত্মক লড়াই গড়ে তুলতে হবে, যা দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের শামিল, এমনই আহ্বান জানিয়েছেন সূর্যবাবুরা। চলতি কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও তুলেছেন তাঁরা।
বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রথা ভেঙেই এ বার ‘সংখ্যালঘু অধিকার দিবস’ পালন করার কর্মসূচিও নিয়েছে বামেরা। বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৬ দল সংখ্যালঘু দিবসে আগামী ১৮ ডিসেম্বর এন্টালি বাজার থেকে মিছিল করবে। জেলাতেও থাকবে কর্মসূচি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy