Advertisement
E-Paper

একজোট হওয়ার ডাক সূর্যদের, বৈঠক শীঘ্রই

বিধানসভায় সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র বিরোধী দলনেতা থাকার সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সংকলন প্রকাশ করে আসছে বাম পরিষদীয় দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৪৩
‘জবাব দিন জনতাকে’ বইটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান এবং  সূর্যকান্ত মিশ্র। কলকাতা প্রেস ক্লাবে। —নিজস্ব চিত্র।

‘জবাব দিন জনতাকে’ বইটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান এবং  সূর্যকান্ত মিশ্র। কলকাতা প্রেস ক্লাবে। —নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূল, দুই শাসককে একই সঙ্গে কাঠগড়ায় তুলে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে ফের একজোট হওয়ার ডাক দিল বাম ও কংগ্রেস। যৌথ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুজোর মধ্যে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব বিধানসভা ভোটের আসন ভাগাভাগি ও অন্যান্য কৌশল সংক্রান্ত প্রাথমিক আলোচনায় বসতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।

বিধানসভায় সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র বিরোধী দলনেতা থাকার সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির সংকলন প্রকাশ করে আসছে বাম পরিষদীয় দল। এখন জোটের আবহে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর চিঠি একত্র করে ‘জবাব দিন জনতাকে’ শীর্ষক বই প্রকাশিত হল সোমবার। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সেই অনুষ্ঠানে মান্নান ও সুজনবাবুদের অভিযোগ, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি কেন্দ্র ও রাজ্য, কোথাওই মানা হচ্ছে না।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠির কোনও জবাব মেলেনি। কৃষি বিল পাশ করানোর সময়ে রাজ্যসভায় যেমন বিরোধী সাংসদদের ভোট চাওয়ার অধিকার মানা হয়নি, রাজ্য বিধানসভায় তেমন প্রশ্নোত্তর ছাঁটাই হয়, মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সম্মতি প্রায় মেলেই না। বিরোধী দলের নির্বাচিত বিধায়ক হিসেবে তাঁরা তাই চিঠি পাঠিয়েই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। শাসক তৃণমূলের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, বিরোধীরা আসলে নিজেদের ‘ব্যর্থতা’ আড়াল করতে চাইছে।

আরও পড়ুন: ‘ভিড় সামলে দেব, কিন্তু অঞ্জলি!’​

ওই অনুষ্ঠানেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু বলেন, ‘‘সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে পাঁচটি ভাবনার কথা বলা হয়েছে, তার প্রত্যেকটিই এখন বিপন্ন। কেন্দ্রে বিজেপি যা করছে, রাজ্যে তৃণমূলও অনেক ক্ষেত্রেই সেই পথে চলছে। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে একজোট হয়ে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য লড়াই করতে হবে।’’

রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে শাসক দলকে ঢাল করছে বিরোধীরা। বিরোধিতা মানেই শুধু নেতিবাচক ভূমিকা নয়। দুর্ভাগ্য যে, সংসদীয় গণতন্ত্রে তাদের ভূমিকা কী, এ রাজ্যের বিরোধীরা তা বুঝে উঠতে পারেনি। তারা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ আগলে দাঁড়াতে চেয়েছে!’’

CPIM Congress Books TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy