বেহালায় বাম ছাত্র, যুব ও মহিলাদের মিছিল
দক্ষিণের পরে এ বার উত্তর কলকাতায় পথে নেমে দুর্নীতির প্রশ্নে সরাসরি কালীঘাটকে নিশানা করল সিপিএম। তাদের দাবি, দুর্নীতির তদন্তে একেবারে মাথা পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ যে ভাবে বাধা দিচ্ছে, তার প্রেক্ষিতে আরও বেশি মিছিল-সভা করার ঘোষণাও করেছে সিপিএম।
কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে শ্যামবাজারে প্রতিবাদ সভা ছিল রবিবার সন্ধ্যায়। বেলগাছিয়া মেট্রো, শোভাবাজার মেট্রো এবং খান্নার সামনে থেকে তিনটি মিছিল করে শ্যামবাজারে আসেন কলকাতার বাম কর্মী-সমর্থকেরা। শোভাবাজার থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বেলগাছিয়া থেকে মিছিল নিয়ে আসেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার ও কনীনিকা ঘোষ এবং খান্নার মোড় থেকে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন পারমিতা সেন রায়। শ্যামবাজারের সমাবেশে সেলিম বলেন, ‘‘টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে এমন ভাবে সামনে আনা হচ্ছে যেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কেবল দু’জনই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি। এদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই! এরা সরকার ও শাসক দলের মদত ছাড়া দুর্নীতি করেছে? পুলিশ এবং পুলিশমন্ত্রী টেরই পেলেন না পার্থ-অর্পিতা কী ভাবে টাকা জমিয়ে গেল? আমরা স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই, রাজ্যের সমস্ত দুর্নীতির ‘ফাউন্টেন হেড’ হচ্ছে কালীঘাট!’’
তৃণমূলের নেতা তাপস রায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘ওরা কি সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে? এ সব কথা বলছে কী ভাবে? যা খুশি বলতে বলতে স্পর্ধার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে, এটাও ওদের মাথায় রাখা উচিত!’’
হাজরায় দক্ষিণ কলকাতার সমাবেশের পথে শনিবার পুলিশের সঙ্গে বাম নেতা-কর্মীদের বিবাদ বেধেছিল। উত্তরে তেমন কিছু হয়নি। সেলিম অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ১১ বছর ধরে রাজ্যে ‘প্রাতিষ্ঠানিক ডাকাতি’ চালিয়েছে। তাতে সুরক্ষা জুগিয়েছে পুলিশের একটা অংশ। জেলা থেকে কয়লা পাচার, মাদক, কাঠ, গরু পাচার বা নিয়োগ-দুর্নীতির টাকা কলকাতায় এসেছে পুলিশি পাহারায়। সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোলের বক্তব্য, ‘‘আমরা বলছি, এ বার থেকে রোজ কলকাতায় মিটিং-মিছিল হবে। চোখের নিমেষে শহরের সমস্ত বড় রাস্তার মোড় অবরোধ হবে। আর সেটা লালবাজারকে জানিয়ে হবে না!’’ মানব মুখোপাধ্যায়, অনাদি সাহু, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশাপাশি সমাবেশে ছিলেন সিপিআইয়ের প্রবীর দেব, আরএসপি-র অশোক ঘোষ, ফরওয়ার্ড ব্লকের জীবন সাহারা।
বেহালায় এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলে পথে নেমেছিল সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন। ‘বেহালার বিধায়ক বেহালার লজ্জা’ লেখা ব্যানার নিয়ে এসেছিলেন এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মী-সমর্থকেরা। ইডি-র হাতে বন্দি পার্থ সাজিয়েও আনা হয়েছিল মিছিলে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy