উৎসবের মরসুমে সচরাচর বিরতি থাকে প্রথাগত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। এ বার পুজোর রেশ কাটার আগেই সেই ধারায় ছেদ পড়তে চলেছে। দ্বাদশীর দিন, শনিবারই কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিল বাম দলগুলি। গাজ়ার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ বহর ‘ফ্লোটিলা’কে ইজ়রায়েলের আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং গাজ়ায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ওই মিছিল হবে। রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু হয়ে মিছিল যাবে ধর্মতলার লেনিন মূর্তি পর্যন্ত। বাম নেতৃত্বের বক্তব্য, ত্রাণবাহী ‘ফ্লোটিলা’র উপরে আক্রমণ মানে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই এই সময়ে তাঁরা সকলকে পথে নেমে প্রতিবাদের আহ্বান জানাচ্ছেন।
এই মিছিলকে সফল করার ডাক দিয়ে আরএসপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ ও তার দোসর ইজ়রায়েল গাজ়ায় মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। অনুতাপহীন ইজ়রায়েলের বাহিনী ফ্লোটিলার উপরে হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের বিজেপি সরকার কদর্য ভূমিকা নিচ্ছে।’
একই সুরে ইজ়রায়েলের হাতে আটক সব মানবাধিকার কর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়ে এসইউসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষও বলেছেন, ‘গাজ়ার অবৈধ অবরোধ ভাঙতে যে শান্তিপূর্ণ আন্তর্জাতিক অভিযান, সেখানে দস্যুসুলভ হামলা প্রমাণ করে যে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতায় ইজ়রায়েল আন্তর্জাতিক আইন, স্বীকৃত কূটনৈতিক রীতিনীতিকে লঙ্ঘন করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়ায় খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছনোর পথ দ্রুত খুলে দিতে হবে।’ ভারতের সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী অবস্থান মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে ইজ়রায়েলের বেপরোয়া ভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে চলার বিরোধিতা করে, সেই দাবি করেছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)