নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।—ছবি পিটিআই।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সেনানী রামপ্রসাদ বিসমিল, আসফাকউল্লা খান ও রোশন সিংহের ফাঁসি হয়েছিল ১৯২৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর। গোরখপুর, ফৈজাবাদ ও নৈনী জেলে তাঁদের আলাদা করে ফাঁসি দিয়েছিল ব্রিটিশ শাসক। ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে দেশের জন্য রামপ্রসাদ, আসফাকদের আত্মবলিদানের দিনটিকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের জন্য বেছে নিল পাঁচটি বাম দল। সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাশ করানো ওই বিলে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ খুলে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানে স্বীকৃত সমানাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে এবং দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বিপরীত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে বলে বামেদের অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে ১৯ ডিসেম্বর দেশ জুড়ে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে বাম ও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন।
সর্বভারতীয় স্তরে সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন নেতৃত্ব ১৯ তারিখ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। কলকাতায় বৃহস্পতিবার প্রথমে বামফ্রন্ট ও পরে ১৭টি বাম দল বৈঠকে বসে ঠিক করেছে, ওই দিন শহরে কেন্দ্রীয় প্রতিবাদ মিছিল হবে। সে দিনই ধর্মতলায় বিক্ষোভ-সভা করে বিলের প্রতিলিপি পোড়াবে এনআরসি-বিরোধী যুক্ত মঞ্চ। তার আগে ১৬ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে চলবে স্থানীয় স্তরে বামেদের প্রতিবাদ। ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র ডাকে এ দিন সন্ধ্যায় পার্ক সার্কাস থেকে সিএবি-বিরোধী মিছিল হয়েছে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত। ছিলেন কমিটির সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী, ইমতিয়াজ মোল্লা প্রমুখ। চঞ্চলবাবু বলেন, ‘‘এটা শুধু মুসলিম সমাজের উপরে আক্রমণ নয়। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান আক্রান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy