রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল দ্রুত প্রকাশ, সব কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ক্লাস শুরুর মতো বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বৃষ্টির মধ্যেই কলেজ স্কোয়ারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তির সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল পাঁচ বাম ছাত্র সংগঠন। তাদের এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বেধেছিল। এসএফআই, এআইএসএফ, এআইএসবি, পিএসইউ এবং আইসা-র ডাকে বাম ছাত্রেরা ‘ক্লাস কবে শুরু হবে’, এই প্রশ্নকে সামনে রেখে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল-হকিকত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বক্তব্য, পরীক্ষার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ হয়নি। কলেজে ভর্তির আবেদনের দিন শুধুই বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। অবস্থান চলাকালীন ছাত্র নেতৃত্বের প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে তাঁদের দাবিদাওয়ার কথা জানিয়ে এসেছেন। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে’র বক্তব্য, “রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে জোর করে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জোর করে শিক্ষা-পরিযাণের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।” অবস্থান থেকে ছাত্র নেতৃত্ব ভর্তি ও চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে সংরক্ষণের শংসাপত্রগুলি নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবিও তুলেছেন। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বলেছেন, ‘‘তিন মাস হয়ে গেল ভর্তি মিটিয়ে কলেজে ক্লাস শুরু হল না! ভর্তির টাকা লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে? স্কুল, কলেজ ধ্বংস হচ্ছে। এসএফআইয়ের বিক্ষোভ সঙ্গত। সেই বিক্ষোভে তাদের হোর্ডিংয়ে হয়ে যাওয়া ২১শে জুলাইয়ের পোস্টার ঢাকা পড়ল কেন, তার জন্য পুলিশ অসভ্যতা করবে?’’ অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, সনাতন চট্টোপাধ্যায়, শামীম আহমেদ, অর্ণব হালদার প্রমুখ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)