Advertisement
E-Paper

ঘরে-দোরে মাঠেঘাটে অভিযান গ্রন্থাগারের

গ্রন্থাগারে যাওয়ার অভ্যেস কমছে মানুষের। তাই বাড়িতে মাঠেঘাটে মানুষের কাছেই যাবে গ্রন্থাগার! আসলে বইয়ের পাঠ নিয়ে এ বার গ্রন্থাগার-কর্মীদেরই মানুষের ঘরে ঘরে, চাষের মাঠে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতর।

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:২১

গ্রন্থাগারে যাওয়ার অভ্যেস কমছে মানুষের। তাই বাড়িতে মাঠেঘাটে মানুষের কাছেই যাবে গ্রন্থাগার!

আসলে বইয়ের পাঠ নিয়ে এ বার গ্রন্থাগার-কর্মীদেরই মানুষের ঘরে ঘরে, চাষের মাঠে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতর।

কী ভাবে হবে এই অভিযান?

গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, রাজ্যে ২৪৮০টি গ্রন্থাগার রয়েছে। প্রতিটি গ্রন্থাগারের কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য। কোন এলাকার জমিতে কোন শস্যের চাষ ভাল হয়, কোন সার ব্যবহার করতে হয়, কোন সময় বীজ বুনতে হয়, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না-হলে কী করা উচিত— এই সব বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন গ্রন্থাগারকর্মীরা। চাষের সাধারণ তথ্যসমৃদ্ধ বই রাখা হবে গ্রন্থাগারে। তার পরে গ্রন্থাগারে আসা সাধারণ পাঠকদের সেই বই পড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। তৃতীয় ধাপে ওই পাঠকদের মাধ্যমে গ্রন্থাগারকর্মীরা পৌঁছে যাবেন গ্রামের মাঠে মাঠে, বাড়ির অন্দরে। তাঁরা কৃষকদের সরাসরি চাষের পাঠ দেবেন। কোন জমিতে কোন ফসলের চাষ কী ভাবে বেশি অর্থকরী হতে পারে, সেই পাঠও দেওয়া হবে কৃষকদের।

প্রথমে ১১টি জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পাঁচশোর বেশি গ্রন্থাগারকর্মীকে। কৃষকদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জমি এবং চাষ। সে-ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলে কৃষকদের অন্দরমহলে সহজেই পৌঁছতে পারবে সরকার। তেমনটাই আশা দফতরের কর্তাদের। শুধু তা-ই নয়, চাকরির দিশা দেখাতেও উদ্যোগী হয়েছে দফতর।

এ বার থেকে জনসংযোগ দফতরের কাজও ভাগ করে নেবে গ্রন্থাগার দফতর। সিদ্দিকুল্লা জানান, মু্খ্যসচিবের মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষা, গ্রামোন্নয়ন, নগরোন্নয়ন, সংখ্যালঘু, পঞ্চায়েত, বিদ্যুৎ-সহ মোট ১৮টি দফতরের সচিবদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প, কোথায় কোন পদে কত চাকরির সুযোগ রয়েছে, কোন দফতর থেকে কী ভাবে ঋণ পাওয়া যায়, সেগুলির যাবতীয় তথ্য গ্রন্থাগার থেকে দেওয়া হবে। সেই জন্য ইতিমধ্যে জেলা স্তরের গ্রন্থাগারগুলিতে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে কাছাকাছি কোনও দফতর নেই, সেখানে গ্রন্থাগার থেকেই তথ্য জানতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জনসংযোগ বাড়াতে বলেছেন। মানুষই আমাদের মূল ভিত্তি। গ্রন্থাগার দফতর সেই কাজটাই করছে।’’

Library
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy