Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
India Book of Records

India Book of Records: দু’বছর বয়সেই মুখস্ত ১০০ দেশের রাজধানীর নাম! রেকর্ড বইয়ে ঢুকল বাঁকুড়ার ঈশিতা!

এখনও স্কুলে ভর্তি করানো হয়নি ঈশিতাকে। তবে মাত্র ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে দেশের ২৯টি রাজ্যের রাজধানীর নাম বলতে পারে সে। ১০০টি দেশের রাজধানীর নাম বলে ২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে। সম্প্রতি এ কারণের তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’।

ঈশিতা মাজি।

ঈশিতা মাজি। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ১৭:৫০
Share: Save:

বয়স দু’বছর তিন মাস। তবে এ বয়সেই আধো স্বরে অনর্গল বলতে পারে ১০০টি দেশের রাজধানীর নাম। রাজ্যের ২৯টি জেলার নামও মুখস্ত। এই গুণপনার জেরেই রেকর্ড বইয়ে ঢুকে পড়েছে বাঁকু়ড়ার মেয়ে ঈশিতা মাজি। এ বার তার মা-বাবার সাধ, ঈশিতা যেন বিশ্বরেকর্ড গড়ে।

এখনও স্কুলে ভর্তি করানো হয়নি ঈশিতাকে। তবে মাত্র ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে দেশের ২৯টি রাজ্যের রাজধানীর নাম বলতে পারে সে। ১০০টি দেশের রাজধানীর নাম বলে ২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে। সম্প্রতি এ কারণের তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’। মূলত মা-বাবার উদ্যোগেই রেকর্ড কর্তৃপক্ষ ঈশিতার কথা জানতে পারেন।

ঈশিতার বাবা হরিশঙ্কর মাজি বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজ করেন। মা ব্যস্ত থাকেন সংসার সামলাতে। কর্মসূত্রে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসনে দু’মেয়েকে নিয়ে বসবাস মাজি দম্পতির। তাঁরা জানিয়েছেন, দেড় বছর বয়সে কথা বলতে শিখেছিল ঈশিতা। বয়স যখন সবে এক বছর সাত মাস ছুঁয়েছে, তখন হঠাৎই তার প্রখর স্মৃতিশক্তি প্রমাণ পেয়েছিলেন মা। শম্পা বলেন, ‘‘বড় মেয়েকে পড়ানোর সময় দেখি, তা নির্ভুল ভাবে মনে রাখতে পারছে ঈশিতা। দু’তিন দিন পরেও দিদির পড়া নির্ভুল ভাবে আধো আধো গলায় গড়গড় করে বলে দিচ্ছে। তখন থেকেই ঈশিতাকে বিভিন্ন রাজ্য, অন্যান্য দেশের রাজধানীর নাম শেখাতে শুরু করি। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের ২৯টি রাজ্য ও ১০০টি দেশের রাজধানীর নাম মুখস্ত করে ফেলে সে।” এর পর ঈশিতাকে ফল-ফুল, শাকসব্জি, পশুপাখি ও মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ছবি দেখিয়ে তা চেনানোর চেষ্টা শুরু হয়।

আরও পড়ুন:

মেয়ের প্রতিভার কথা ছড়িয়ে দিতে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস-এর স্বীকৃতির চেষ্টা শুরু করেন শম্পারা। ঈশিতার মুখস্ত থাকা দেশ-রাজ্যের রাজধানী, ফল-ফুল, পশুপাখি, রঙের নাম, ছড়া-কবিতা সহ মোট ১৭টি বিষয়ের ভিডিয়ো তৈরি করে তা পাঠানো হয় ওই সংস্থার দফতরে। সেগুলি যাচাই করে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস। ঈশিতার পরিবারে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে পদক, শংসাপত্র-সহ পুরস্কার।

এ বার লক্ষ্য কী? শম্পা বলেন, ‘‘ঈশিতাকে দিয়ে আরও দেশের রাজধানীর নাম মুখস্ত করানো হচ্ছে। আশা করি, বিশ্বের সমস্ত দেশের রাজধানীর নাম রপ্ত হয়ে যাবে ওর। ঈশিতার জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ আবেদনও জানাব। তবে ঈশিতা যেন লেখাপড়াতেও সমান নজির তৈরি করতে পারে, তা-ই লক্ষ্য।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India Book of Records Records
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE