পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি। —ফাইল চিত্র।
বাড়ির সিঁড়িতে বসে বৃহস্পতির শুভঙ্করকে হেঁসোতে শান দিতে দেখেছিলেন এলাকার মানুষ। এই হেঁসোর কোপেই শুভঙ্কর মজুমদার পরে চাকদহ ১২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের সভাপতি সুধীন সোমকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।
ক্ষুব্ধ জনতা এর পরেই তার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সুধীন সোমের বাড়ির পাশেই অভিযুক্ত শুভঙ্কর মজুমদারের বাড়ি। শুক্রবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সামনে লম্বা বাগান দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এখানেই পড়েছিল সুধীনবাবুর দেহ। সারা রাত এই এলাকা পাহারা দিয়েছে পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা। ঘটনার পর থেকে আশপাশের এলাকার মানুষ ভিড় করেছেন বাড়ির সামনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভঙ্কর বিজেপি কর্মী ছিল। বছর সাতেক রাজস্থান থেকে চাকদহ ঘুঘিয়া ৫২ নম্বর রেলগেটের কাছে সোমপাড়ায় বাড়ি করে শুভঙ্কর। স্ত্রী এবং তিন মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। গ্রামীণ চিকিৎসক হিসাবে কাজ করে সে। কাজের সূত্রে রাজস্থানে থাকে। বছরে দু-তিন বার বাড়ি আসে। এ বার এসেছিল দিন সাতেক আগে।
পাড়ার লোকেরা জানিয়েছেন, সে ভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না শুভঙ্কর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হত না বলে তাঁদের দাবি। স্ত্রী-র সঙ্গে প্রায় গোলমাল হত। স্ত্রীকে মারধর করত শুভঙ্কর। ঘটনার দিন সকাল সাতটা নাগাদ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতে শুনেছেন এলাকার মানুষ।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সুধীন সোমকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সুধীনের স্ত্রী গায়ত্রী সোম বলেন, “শুভঙ্করের পারিবারিক গণ্ডগোল ছিল। ওদের সমস্যা নিয়ে কয়েক বার সালিশিও করেছে আমার স্বামী। এ ছাড়া সে বিজেপি করত। এ জন্য, আমার স্বামীর উপর তার রাগ ছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy