বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।—ফাইল চিত্র।
দু’দিন পরেই কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। সেখানে ১০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
ওই দুই কেন্দ্রের ৩৮৪৪টি বুথে ৩৪,৫৪,২৭৪ জন ভোটারের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার কথা। সেখানকার ভোটার ও ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করতে পারে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে সোমবার পর্যন্ত ৭৯ কোম্পানির আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘৭৯ কোম্পানি আসতে চলেছে। আরও ২৫ কোম্পানি আসতে পারে। তবে কোথা থেকে তা আসবে, সেটা স্থির হয়নি।’’ তবে নিরাপত্তার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে কোনও খামতি রাখবে না, এ দিন ফের তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার আরিজ আফতাব। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি বুথেই সশস্ত্র বাহিনী থাকবে। থাকবে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইটচআরএফএস), কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা।’’ প্রথম দফার নির্বাচনে কত কোম্পানি আধাসেনা থাকবে, সেই বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু জানাননি সিইও। তবে তিনি বারবার জানান, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যবস্থা করছে কমিশন। কত বাহিনী থাকবে, তা ভোটের আগের দিন প্রকাশ্যে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত কমিশন সূত্রের। কত বুথ ‘ক্রিটিক্যাল’ বা স্পর্শকাতর, সেই বিষয়ে এ দিন কিছু বলতে চায়নি সিইও দফতর। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের নেতাদের দাবি, ভোটকর্মীরা প্রয়োজনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন সিইও।
এ দিন মুর্শিদাবাদে রাজনৈতিক দল, প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে প্রশাসনিক কর্তাদের নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আজ, মঙ্গলবার সকালে মুর্শিদাবাদের সাধারণ, খরচ সংক্রান্ত এবং পুলিশ-পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে কলকাতায় ফেরার কথা বিবেকের। বুধবার কোচবিহার যাবেন বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক। ভোটের প্রস্তুতি বিষয়ে এ দিন প্রথম দফার পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy