বুথফেরত সমীক্ষায় তাদের জন্য বড়সড় লাভের ইঙ্গিত নেই। রাজ্যে মেরুকরণের ভোটে তারা দু’টি আসন পেতে পারে বলে আভাস দিচ্ছে বেশির ভাগ সমীক্ষা। কিন্তু সমীক্ষার পূর্বাভাস নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস শিবিরের আশা, রাজ্যে মোট চারটি আসন তারা ধরে রাখতে পারবে। মুর্শিদাবাদ জেলার যে দুই বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, তা নিয়েও আশাবাদী তারা।
পাঁচ বছর আগে একা লড়েই মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং বহরমপুর আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। এ বার জেলা থেকে আসা রিপোর্ট দেখে বিধান ভবন মনে করছে, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার চারটি আসনে কংগ্রেসই এগিয়ে। জঙ্গিপুর আসনের ফল নিয়ে অবশ্য কংগ্রেস শিবিরে ধন্দ আছে। তবে দলীয় নেতৃত্বের বড় অংশের বক্তব্য, জঙ্গিপুর কোনও ভাবে হাতছাড়া হলেও মুর্শিদাবাদ পুনরুদ্ধার করবে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘‘এ বারের লোকসভা ভোট হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিজেপির বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের ভিত পুরনো। সেখানে সংখ্যালঘু মানুষের সমর্থন আমাদের দিকেই থাকবে।’’ সংখ্যালঘু ভোটের মেরুকরণ হয়ে রায়গঞ্জ আসনও তাঁরা জিতে যেতে পারেন বলে কংগ্রেস নেতাদের একাংশের আশা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত লোকসভা নির্বাচনে চারটি আসন পেলেও কংগ্রেস পেয়েছিল ৯.৫৮% ভোট। তার দু’বছর পরে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট বেড়ে হয়েছিল ১২.২৫%। যদিও তার মধ্যে বামেদের ভোট মিশে ছিল। আবার কংগ্রেসের ভোট ধরেই সে বার বামেদের প্রতীকে লড়া আসনে বামফ্রন্টের ভোট ছিল প্রায় ২৬%, যার মধ্যে ১৯.৭৫% ছিল সিপিএমের প্রতীকে আসা ভোট। আসন ধরে রাখার পাশাপাশি একা লড়ে কংগ্রেসের ভোট এখন কত, তার হিসেবও লোকসভা নির্বাচন থেকে বুঝে নিতে চাইছেন সোমেন মিত্রেরা।
মঙ্গলবার রাজীব গাঁধীর প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানেও বিজেপি এবং মোদীকে নিশানা করে প্রদেশ কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy