—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙা এবং বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দুবরাজপুরের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনার প্রেক্ষিতে বাগদার সভায় মমতা বলেন, ‘‘এত বড় সাহস যে বুথের ভিতরে ঢুকে সিআরপিএফ গুলি চালিয়েছে! সিআরপিএফ-এর তো বুথের বাইরে থাকার কথা! আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। বুথে ঢুকে লাঠি চালানোর ক্ষমতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নেই। এমনকি প্যারেড করলেও রাজ্যের পুলিশকে সঙ্গে নিতে হয়। বিজেপি গায়ের জোরে আইনের অপব্যবহার করছে।’’ মমতার আরও অভিযোগ, ‘‘বুথে ঢুকে ঢুকে ওরা নাকি বলছে, কে বিজেপির এজেন্ট? বিজেপিকে ভোট দাও। এ ব্যাপারে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এটা কি ওদের কাজ?’’ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বিজেপির কথায় কাজ করছে, এই অভিযোগও তুলে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপির কথা শুনে গোলমালে জড়াবেন না। কোনও দলই করতে হবে না আপনাদের। ভাল ভাবে স্থানীয় লোকদের নিয়ে কাজ করুন।’’
মমতার বক্তব্য, বাংলার পুলিশই রাজ্য চালায়। মমতার কথায়, ‘‘খালি ভোট এলে দিল্লির পুলিশ চাই? মানুষ ভোট দেয়, পুলিশ ভোট দেয় না। দিল্লির ভোট বলে কি দিল্লির পুলিশও চাই? তা হলে ভোটটা করে লাভ কী!’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
১০০ শতাংশ বুথে বাহিনীর দাবিতে যারা সব চেয়ে বেশি সরব, সেই বিজেপি-ও এ দিন বাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে তাদের অভিযোগ, যাদের হাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব ছিল, তাঁরা কর্তব্যে অবহেলা করেছেন। তার ফলেই গোলমাল হয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘কমিশনের কথামতো যথেষ্ট বাহিনী ছিল। কিন্তু যাঁরা বাহিনীকে বিভিন্ন বুথের বাইরে মোতায়েন করা এবং পথ দেখিয়ে গোলমালের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের অনেকে কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। যাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy