খড়্গপুরের বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ছবি: সুমন বল্লভ।
ভোটের দিন তৃণমূল বেশি ‘বাড়াবাড়ি’ করলে তাদের ‘তালা বন্ধ’ করে রেখে দেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং মেদিনীপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আজ, রবিবার ভোটের সকালে ঘোরার সময় সেই তালা সঙ্গে রাখবেন বলেও আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি৷ সেই সঙ্গেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘লড়াই করে মারতে চাই। ওষুধ তৈরি হচ্ছে।’’
ভোটের আগের দিন শনিবার এলাকার কয়েকটি গ্রামে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর খড়গপুরের ঠিকানায় ফিরে আড্ডায় বসেন। সেখানেই এক দলীয় কর্মী তাঁকে বলেন, ‘‘দাদা বীরভূম থেকে লোক ঢুকেছে।’’ তাঁর হাল্কা মন্তব্য, ‘‘যদি নকুলদানা আসে, আমারও লাড্ডু রেডি হচ্ছে।’’ তাঁর মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া অবশ্য এ দিন কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় তাঁর কথা মতো, খড়্গপুর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর শহরে গেলেও তিনি দেখা করেননি। তাঁর এই ‘দূরে থাকা’ কি কোনও টেনশনের লক্ষণ? গুঞ্জন তা নিয়ে।
প্রার্থী কথা না বললেও দিলীপবাবুর হুমকির জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কিছু পাগল আছে যারা প্রতিদিন অর্থহীন কথা বলতে বলতে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ায়। ওঁর অবস্থাও হয়েছে তাই। কখনও বলছেন পুঁতে দেব, কখনও শ্মশানে পাঠাতে চাইছেন। ওঁরা বুঝতে পারছেন, মানুষ ভোটের বাক্সে ঠিক সেই অবস্থা গুলোই ওঁদের করবেন।’’ পার্থবাবুর আরও হুঁশিয়ারি, ‘‘উনি তো ওষুধ বানাবেন বলছেন, বাংলার মানুষ ওঁদের জন্য বিদায়ের ওষুধ বানিয়ে রেখেছেন। কলকাতায় ওঁদের কার্যালয়ে এর পর মাছিও বসবে না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির হুমকি, ‘‘তৃণমূল চুড়ি পরে ঘরে বসে নেই। এমন ১৪ লক্ষ দিলীপ ঘোষকে ঘরে ঢুকিয়ে রাখার ক্ষমতা আমরা রাখি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy