Advertisement
E-Paper

‘মোদীর সভায় নিরাপত্তা কম ছিল’ 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপিজি-ই একটি লিখিত রিপোর্টে জানিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা হয়।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৫৪
সেই চিঠি। —নিজস্ব চিত্র।

সেই চিঠি। —নিজস্ব চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না বলে দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি চিঠিতে জানিয়েছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, জাতীয় কংগ্রেস নেতা সনিয়া গাঁধীর পুত্র রাহুল গাঁধীর সভাতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক ছিল না। মোদী ও রাহুল দু’জনেই এসপিজি-র (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) নিরাপত্তা পান। রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে।

সরাসরি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধি ও প্রথা অনুযায়ী যা যা করণীয়, রাজ্য সবই করে থাকে। নির্বাচনের কাজে পুলিশকে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ভোট নিরাপত্তার জন্য ভিন্ রাজ্যেও রাজ্যের পুলিশকে পাঠাতে হচ্ছে। তার উপরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর মতো কাজ। তার পরেও ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা দিতে রাজ্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করে থাকে সব সময়। তাই রাজ্যের গাফিলতি রয়েছে, এমন তত্ত্ব খাটে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এসপিজি-ই একটি লিখিত রিপোর্টে জানিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা হয়। সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না বলে দাবি। সেই সভায় ঠেলাঠেলি ও ভিড়ে ঠাসাঠাসিতে যে কোনও মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল বলেও দাবি। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

একই ভাবে এসপিজি-র তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ মার্চ মালদহের চাঁচলে রাহুল গাঁধীর সভায় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল, সেই সভাতেও পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল না। সেই সভার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের এসপিজি-র তরফে বারবার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের আর্জি জানানো হলেও সাড়া মেলেনি বলে দাবি। অভিযোগ, সেই সভাতেও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ‘ডি’ জোনে এবং চলাচলের রাস্তায় চেয়ার ছুড়ে দেওয়া হয়। এমন পরিবেশে রাহুলের বক্তৃতার সময় কমিয়ে দিতে পরামর্শ দেয় এসপিজি। তবে মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এমন কিছু হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যও করব না’’

তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, এই দুই পরিস্থিতির কথা জানিয়ে উল্লেখ করেছে, এসপিজি-র সুরক্ষা পান এমন ব্যক্তিদের নির্বাচনের সময়ই সব থেকে বেশি সফর করতে হয়। এই সময় রাজ্য সরকারের দায়িত্ব হল প্রধানমন্ত্রী সহ এমন সকলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার অবশ্য বলেন, “এখনও চিঠির বিষয়ে জানি না। তা জানার পরেই কোনও কিছু জানানো সম্ভব হবে।”

Lok Sabha Election 2019 Security Narendra MOdi Thakurnagar MHA লোকসভা ভোট ২০১৯
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy