দাবি আদায়ে বার বার পথে নেমেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের রূপায়ণ হয় না।
ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষ আকৃতির জন্য ঘাটাল মহকুমায় প্রায় প্রতি বছর বন্যা হয়। বানভাসি হয় ঘাটাল, চন্দ্রকোনা ১ ও ২-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। সহায়, সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হন বহু মানুষ। এই মহকুমায় বন্যা প্রতিরোধে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা শোনা যায় সেই ১৯৮২ সাল থেকে। কিন্তু সেই প্রকল্পের রূপায়ণ এখনও হয়নি। শুরুতে যে প্রকল্পের আনুমানিক ব্যায় ছিল ৫০ কোটি টাকা, এখন সেটি গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪০ কোটিতে। ঘাটাল মাস্টার প্যান রুপায়ণ সংগ্রাম কমিটির আশা, ঘাটাল থেকে দীপক অধিকারী এবং মেদিনীপুর থেকে মানস ভুঁইয়া যদি জিতে লোকসভায় যান, তাহলে তাঁরা যৌথ ভাবে সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হবেন।
দীর্ঘ কয়েক দশকের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে মানস ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজনীতা জানেন। তিনি সবংয়ের ভূমিপুত্র। সবং বিধানসভাটিও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর সময়ে এই নিয়ে কিছুটা এগিয়েও ছিলেন তিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার নিয়ে মানস যতখানি সক্রিয় এবং আন্তরিক, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ততখানি নন। ঘাটালের সাংসদ থাকাকালীন দেবও সেই ভাবে এই প্রকল্প নিয়ে সরব হননি। ঘাটাল মাস্টার প্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক নারায়ণ নায়েকের দাবি, “কেলেঘাই কপালেশ্বরী নিয়ে মানস ভুঁইয়া যতটা আন্তরিক, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এতদিন ততটা ছিলেন না। জনগণের ভোটে জিতলে সংসদে গেলে তাঁর অবস্থান বদলাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। দেবকেও আরও সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।” মানসের বক্তব্য, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি বরাবরই সক্রিয়। এ বার আমার নিজের এলাকার সাংসদকে নিয়ে দিল্লিতে প্রকল্পের টাকা অনুমোদনের জন্য লড়াই চালাব।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে মানসের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি। তাদের দাবি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ‘কুমিরছানা’ দেখিয়ে এর আগের ভোটগুলি হয়েছে। এ বারেও সেই চেষ্টা চলছে। বিজেপি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের দাবি, “ঘাটাল ও মেদিনীপুরে আমাদের প্রার্থী জিতলে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে এই প্রকল্পের কাজ করার পদক্ষেপ করবো।’’ নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy