ছবি: পিটিআই।
বেগুসরাইয়ের বহুচর্চিত ভোট মিটে গিয়েছে। ওই কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার এ বার বামেদের হয়ে প্রচারে আসছেন বাংলায়। তবে প্রশাসন ঝুঁকি নিতে না চাওয়ায় একই দিনে একই জায়গায় নরেন্দ্র মোদী ও কানহাইয়ার পিঠোপিঠি সভা হচ্ছে না।
সিপিআই সূত্রের খবর, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-নেতা এ রাজ্যে আসছেন শনিবার, ৪ মে। পঞ্চম দফার ভোটের আগে প্রচার শেষ হবে ওই দিনই। রাঁচী থেকে কলকাতায় নেমে ওই দিন কানহাইয়ার তাই সরাসরি চলে যাওয়ার কথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করতে। সেখান থেকে তাঁর যাওয়ার কথা উত্তর দমদমে। সিপিএম প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্যের প্রচার-সভায় থাকার কথা তাঁর। উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট। তার উপরে সদ্য সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী সভা করে গিয়েছেন। কানহাইয়াকে দিয়েই বিজেপির মোকাবিলা করতে চাইছে বামেরা।
তাঁর প্রচার-সূচির দ্বিতীয় দিনে ৫তারিখ কানহাইয়ার সভা করার কথা খড়গপুর, ডেবরা ও তমলুকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তপন গঙ্গোপাধ্যায় ও মেদিনীপুরে বিপ্লব নট্ট— দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী রয়েছেন সিপিআইয়ের। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে আবার প্রার্থী আর এক প্রাক্তন ছাত্র-নেতা, সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি। ওই দিনই ঝাড়গ্রামে সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের সঙ্গে সভা করার কর্মসূচি ছিল কানহাইয়ার। তবে সে দিন ঝাড়গ্রামে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভা থাকায় কানহাইয়ার সমাবেশের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় মোদীর ঝাড়গ্রাম সফর অবশ্য এক দিন পিছিয়ে ৬ তারিখ ধার্য হয়েছে। কানহাইয়ার রাজ্য ছাড়ার কথা ৬ তারিখই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘কানহাইয়াকে প্রচারে পাওয়ার ডাক আসছে সারা দেশ থেকে। ভোপালে যেমন কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিংহ ওঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য। আমরাও ওখানে প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’’ সিপিআই চেষ্টা চালাচ্ছে ভোপাল সফরের পরে কানহাইয়াকে এক বার বসিরহাটের প্রার্থী ও দলের সর্বভারতীয় নেতা পল্লব সেনগুপ্তের প্রচারে নিয়ে আসতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy