হাড়োয়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: তৃণমূলের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত।
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন আগেই। এ বার বসিরহাটের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শঙ্করপুরে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন তিনি। সীমান্তের ওপার থেকে দুর্বৃত্ত ঢুকিয়ে বসিরহাটে দাঙ্গা করানো হয় বলে সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে কাউকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান দেয়নি বিজেপি। শুধু দাঙ্গা দিয়েছে। বসিরহাটের দাঙ্গা আপনারা দেখেননি? বসিরহাটের সাধারণ মানুষ দাঙ্গা করেননি। বাংলাদেশের বিএসএফ-এর বর্ডার খুলে দিয়ে দুর্বৃত্ত ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তারা এসে দাঙ্গা করেছিল এটা মাথায় রাখবেন। বসিরহাটের মানুষ দাঙ্গা করেননি। আমরা ভুলে যাইনি সে দিনের কথা।’’
বিজেপিকে ফ্যাসিবাদী দল বলেও আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি একটা ভয়ঙ্কর ফ্যাসিস্ট এবং ভয়ঙ্কর অত্যাচারী রাজনৈতিক দল। পাঁচ বছরে কী করেছে জিজ্ঞাসা করুন। একটা কথা বলতে পারবে না। পাঁচ বছরে কী করেছে ওরা, হঠাৎ নোট বাতিল করেছে, তাতে মানুষের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল, কৃষকদের চাষ বন্ধ হয়ে গেল, শ্রমিকদের কাজ বন্ধ হয়ে গেল। তিন কোটি ছেলেমেয়ে বেকার হল, ১০০ জন লাইনে দাঁড়িয়ে মারা গেল, আর নোটবন্দির চাকা কোথায় গেল? মোদীবাবুকে বলুন, জবাব জবাব চাই, জবাব দাও। তার পর মিটিংয়ে বড় বড় কথা বলো।’’
আরও পড়ুন: ‘গুজরাত দাঙ্গার পর মোদীকে বরখাস্ত করতে গিয়েছিলেন বাজপেয়ী, আটকেছিলেন আডবাণী’
জনগণের নামে নোটবন্দি কেলেঙ্কারি করেছিলেন বলেও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নোটবন্দির পর কার টাকা, কে পেল কেউ জানে না। মোদীবাবু জবাব দিন, বিজেপির পকেটে কত টাকা ঢুকল। রাফাল চুরির কত টাকা পেলেন, কত টাকা গেল আর কত টাকা খেলেন, মোদীবাবুকে একবারও জিজ্ঞাসা করবেন না আপনারা?’’ গাঁধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসে যাদের নেতা, সেই রাজনৈতিক দলের থাকা চলে না বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
এ রাজ্যে প্রচারে এসে বার বার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে বাঙালির আবেগ উস্কে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়েও এ দিন তাঁকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্ল্যানিং কমিশন তৈরি করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেই কাউকে না জিজ্ঞাসা করে নেতাজির সেই প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিলেন। তার বদলে নিজের ইচ্ছা মতো নীতি আয়োগ তৈরি করলেন, যার না আছে নীতি, না আছে আয়োগ। কোনও পরিকল্পনা নিয়ে সেখানে যাওয়াই যায় না। এতে নেতাজির অপমান হল না!’’
আরও পড়ুন: ভারতীয় বায়ুসেনা পেল অত্যাধুনিক মার্কিন কপ্টার অ্যাপাশে
এ দিন হাসনাবাদের মুরারিশাতেও সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সিবিআই থেকে আরবিআই, ইডি থেকে আইটি সব প্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘মোদী খেয়ে নিয়েছেন’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy