প্রস্তুতি: মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে তৈরি হচ্ছে মাঠ। ছবি: সুজিত দুয়ারি
অতীতে রাজ্যের বিরোধী নেত্রী হিসাবে অশোকনগরে জনসভা করতে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর কখনও অশোকনগরে জনসভা করতে আসা হয়নি। যা নিয়ে স্থানীয় নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চাপা অভিমান ছিল এত দিন। সংলগ্ন হাবড়া এলাকায় ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে জনসভা করে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে অশোকনগর থেকেও কর্মী-সমর্থকেরা ভিড় করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা একবারই অশোকনগরে এসেছিলেন। ২০১৫ সালে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল অশোকনগরের বেশ কিছু এলাকায়। স্থানীয় কাজলা এলাকায় সে সময়ে সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা এসেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে। তবে খাতা-কলমে জনসভা ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথম আজ, শুক্রবার অশোকনগরে জনসভা করতে আসছেন মমতা। স্থানীয় হরিপুর এলাকার একটি মাঠে তিনি সভা করবেন বারাসতের দলীয় প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে।
স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে স্থানীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ও উৎসাহ তৈরি হয়েছে। কর্মীদের বক্তব্য, ‘‘এত দিন পরে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরের মাঠে সামনাসামনি দেখব। আফসোস মিটতে চলেছে।’’ অশোকনগর শহর তৃণমূল সভাপতি সমীর দত্ত বলেন, ‘‘উনিশ বছর আগে মমতা বন্দোপাধ্যায় শেষবার অশোকনগরে এসেছিলেন পুর ভোটের প্রচারে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এই প্রথম তিনি আসছেন সভা করতে। আমাদের মধ্যে এ নিয়ে আবেগ তৈরি হয়েছে। মাঠ ভিড়ে উপচে পড়বে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘মূলত হাবড়া ও অশোকনগর এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেবেন। আমরা আশা করছি, প্রায় এক লক্ষ মানুষ আসবেন।’’ জেলা তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি নিয়ে বার্তা দেবেন। কারণ, অশোকনগরের বহু মানুষ বিভিন্ন সময়ে ও পার বাংলা থেকে এ দেশে এসে বসবাস শুরু করেন। অসমে এনআরসি চালু হওয়ায় অনেকেই শঙ্কিত। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেবেন সভা থেকে, মনে করছেন অনেকেই।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা এলাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া তোরণ, কাট আউট, পতাকা-ব্যানারে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। গরমের জন্য সভাস্থলে আসা মানুষদের জন্য ছাউনি ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাবড়ার বদলে এ বার কেন অশোকনগরে সভা মুখ্যমন্ত্রীর?
জেলা তৃণমূলের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে যথেষ্ট। তা ছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিজেপির কিছুটা হলেও প্রভাব আছে। রাজ্যে বিজেপির প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন বাদল ভট্টাচার্য। তিনি ১৯৯৮ সালে বিধানসভার উপ নির্বাচনে অশোকনগর থেকেই জয়ী হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy