ভোট বৈতরণী পার হতে হবে তো। কোন্দল থাকলে চলে! ভোটের দিন তাই খড়্গপুর শহরের তৃণমূলের চারমূর্তির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করলেন প্রার্থী মানস ভুঁইয়া।
তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে, কার্যকরী সভাপতি জহরলাল পাল, জেলা নেতা দেবাশিস চৌধুরী ও পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার— শাসক দলের অন্দরে এঁরাই চার মূর্তি হিসেবে পরিচিত। চারজনের মধ্যে ‘সুসম্পর্কে’র রসায়নও জটিল। এই শহরে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এর পিছনে দলের গোষ্ঠীকোন্দল যে অন্যতম কারণ ছিল, তা উঠে এসেছিল তৃণমূলের পর্যালোচনায়। সেই দিলীপই এ বার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী। বিপক্ষে তৃণমূলের মানস। লোকসভায় সম্মানের লড়াই তাঁর। এ বার ভোটের মুখে কোন্দল-কাঁটা সামলাতে নাকাল হতে হয়েছে মানসকে। প্রচারে এসে চারমূর্তিকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তবে তার পরেও প্রচারে বেরিয়ে দুই গোষ্ঠীর অনুগামীর হাতাহাতি দেখতে হয়েছে মানসকে। তাই নির্বাচনের দিন চার নেতার মনে যাতে কোনও ক্ষোভ না থাকে, সেই চেষ্টাই করেন তিনি।
এ দিন দুপুরে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকা ঘুরে মানস পৌঁছন রেলশহরে। প্রথমেই রবিশঙ্কর পাণ্ডের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল প্রার্থী। তারপরে যান রবির দলীয় কার্যালয়েও। এর পরে মালঞ্চ রোডে দেবাশিসের কার্যালয়ে দলের বুথে গিয়ে দেখা করেন মানস। সেখান থেকে বেরিয়ে যান প্রদীপের কার্যালয়ে। সেখানে প্রদীপ না থাকায় ধানসিংহ ময়দানে প্রদীপের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শেষে শহর ঘুরে তালবাগিচায় গিয়ে জওহরলাল পালের সঙ্গে দেখা করে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। সকলকে তিনি বলেছেন, ‘‘সব ঠিকঠাক আছে তো?’’ জবাবে সকলের সুর অবশ্য ছিল একই! তবে পৃথক বর্ণনায় বুঝিয়েছেন তাঁরা কীভাবে বুথ আগলেছেন। বিনিময়ে পিঠ চাপড়ে আলিঙ্গন মিলেছে মানসের।