খোশগল্প: জলপাইগুড়ি শহরে দলের হয়ে প্রচারে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
বাড়ি থেকে রিকশায় চেপে মন্দিরে পুজো দিয়ে বছরের প্রথম দিনটা শুরু করলেন অভিনেত্রী, যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। এরপর ছোটবেলার শহরের কাছের মানুষদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। সেখান থেকে বাড়ি। দুপুরে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণের সমর্থনে জনসভা করে বিকেলে শহরে হুড খোলা গাড়িতে প্রচার করলেন। বহু মানুষ তখন নায়িকাকে দেখতে ও তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সোমবার সারা দিন পাণ্ডাপাড়ার মেয়ে মিমিকে কেন্দ্র করে উৎসবের আকার নেয়। মিমির ছোট বেলার রিকশাকাকু সঞ্জয় পাসওয়ান মিমির বাড়ির গেটে হাজির হন। মিমি রিকশাকাকুকে মামা বলে ডাকতেন। আর সেই মামার রিকশাতে করেই তাঁকে কালী মন্দিরের পুজো দিতে নিয়ে যান ‘মিমি ফ্যানস্ ক্লাব’-এর সদস্যরা। যদিও কিছুটা পথ গিয়েই প্রতিবেশীদের বাড়ির সামনে তিনি নেমে পড়েন। হেঁটেই মন্দিরে যান তিনি।
যাবার সময় প্রতিবেশীর বাড়ির গেট খুলে ওই বাড়ির কুকুরকে আদর করতেও ভোলেননি। প্রতিবেশীদের কে কেমন রয়েছেন, সে খোঁজও নিলেন।
এরপর সোজা মন্দিরে। পুরোহিত মিঠু চক্রবর্তী মন্ত্র উচ্চারণ করেন। এরপর ‘মিমি ফ্যানস্ ক্লাব’ তাঁকে সংবর্ধনা দেন। সংবর্ধনা পেয়ে মিমি বলেন, ‘‘এই এলাকা থেকে হাসপাতাল প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। তাই আমি চাই এখানে একটা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা করা হোক। এই বিষয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করব।’’ এরপর দুপুরে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাণ্ডা পাড়া পার্কের মোড়ে পাশে ফাঁকা মাঠে বিজয়চন্দ্র বর্মণের সমর্থনে একটি জনসভা করেন মিমি।
এই পাণ্ডা এলাকায় ছোট থেকে বড় হন মিমি। ১৫ বছর পর নতুন বছরের প্রথম দিনটি বাড়িতে কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত মিমি। সভায় বলেন, ‘‘আমি বেশি কথা বলি না। কাজ করাকে বিশ্বাস করি। তাই অনেকে বলছেন আমার কাজের অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য অভিজ্ঞতার দরকার হয় না।’’
রিকশাচালক সঞ্জয় পাসওয়ান বলেন, ‘‘আমি মিমিকে স্কুলে নিয়ে যেতাম। বান্ধবীর বাড়িতে কিংবা পড়তেও যেত আমার রিকশায়। আমি ম্যাডাম বলে ডাকতাম। আমি খুব খুশি, সেই ম্যাডাম এখন সত্যিই ম্যাডাম হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy