পশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের খসড়া তালিকায় ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে-র নাম বাদ পড়ার ঘটনায় ভুল স্বীকার করলেন ওই বুথের বিএলও (বুথ স্তরের আধিকারিক)। মঙ্গলবার তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়তেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই নিজের ভুল স্বীকার করলেন ওই বুথের বিএলও কুশ হাজরা।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে তার দিন কয়েক আগে কমিশনের তরফে বুথভিত্তিক মৃত এবং স্থানান্তরিতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই তালিকাতেই ডানকুনি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের নামের পাশে উল্লেখ ছিল ‘মৃত’! ঘটনাটি জানাজানি হতেই মঙ্গলবার সকালে তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন সূর্য। মঙ্গলবার সকালে কালীপুর শ্মশানে নিজেই হেঁটে যান। তাঁর পাশে ছিলেন অনুগামীরা। কেন তিনি শ্মশানে গেলেন, জানতে চাইলে সূর্য দাবি করেন, কমিশন যখন আমাকে ‘মৃত দেখিয়ে’ দিয়েছে, তখন সৎকারও করে দিক!
আরও পড়ুন:
এই ঘটনার জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে দায়ী করেন সূর্য। তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে তো মৃত দেখিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বলছি আপনারা আসুন, আমাকে শ্মশানে পুড়িয়ে দিন।’’ তিনি এ-ও দাবি করে, এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন। জমা দিয়েছেন বিএলও-র কাছে। তার পরেও এমন ভাবে তাঁকে ‘মৃত’ দেখানোর নেপথ্যে ‘চক্রান্ত’ আছে বলে মনে করেন সূর্য।
বিষয়টি কমিশনের নজরে আসতেই পদক্ষেপ করে তারা। জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে খসড়া তালিকা প্রকাশের পর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) জানান, হুগলির কাউন্সিলরের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনায় ডিইও-র কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে হলে বিএলওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
বুধবার সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ক্ষমা চান সূর্যের বুথের বিএলও। সিইও দফতর সূত্রে খবর, ওই রিপোর্ট কমিশনের দিল্লি অফিসে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারাই। শুধু সূর্য নন, ওই বুথে আরও কয়েক জন ভোটারের নাম তালিকায় না-থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূর্যের মতো একই বিষয় তাঁদের সঙ্গেও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি কমিশন খতিয়ে দেখছে।