Advertisement
১৭ মে ২০২৪

দিনভর ডুয়ার্সের চা বাগানে প্রচার করলেন গৌতম দেব

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেটেলি এবং নাগরাকাটা চষে ফেলেন মন্ত্রী। খুব সকালে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই, যাতে তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারেন, তার জন্যে সোমবার রাতে মেটেলির ইনডং চা বাগানে চলে আসেন গৌতম দেব।

আবদার: ইনডং চা বাগানে মন্ত্রীর সঙ্গে নিজস্বী তোলার ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

আবদার: ইনডং চা বাগানে মন্ত্রীর সঙ্গে নিজস্বী তোলার ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেটেলি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৯
Share: Save:

বিজেপি নেতারা মেটেলি, নাগরাকাটার চা বলয়কে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করেন। মঙ্গলবার সেই এলাকাতেই দিনভর জোরদার প্রচার চালালেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। দিনশেষে তিনি জানান, সব জায়গায় মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পাশে রয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেটেলি এবং নাগরাকাটা চষে ফেলেন মন্ত্রী। খুব সকালে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই, যাতে তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারেন, তার জন্যে সোমবার রাতে মেটেলির ইনডং চা বাগানে চলে আসেন গৌতম দেব। মঙ্গলবার সকাল সাতটায় ইনডং বাগানে চা শ্রমিক নেতাদের কায়দায় বাগানে গেট মিটিং করেন তিনি। চা শ্রমিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপচারিতায় আড্ডা জমিয়ে, একের পর এক নিজস্বী তোলার আবদারও মেটান মন্ত্রী। এর পর সেখান থেকে মেটেলিতে রোড শো-তে যোগ দেন। মেটেলি বাজার ঘুরে এলাকার ১৪টি চা বাগান থেকেই দশরথ তিরকেকে লিড দেওয়ার বিষয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করেন মন্ত্রী।

মেটেলি সেরে নাগরাকাটা এলাকাতেও একই কায়দায় প্রচার করেন গৌতম। শুল্কাপাড়াতে সভা করেন, নাগরাকাটা বাজার এলাকায় মিছিলের নেতৃত্ব দেন তিনি। তবে, নাগরাকাটার পর লুকসান বাজারে তাঁর যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য তা বাতিল করতে বাধ্য হন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর পর গৌতম যান ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি ব্লকের প্রত্যন্ত দুরামারি গ্রামে। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী ভগীরথ রায় এই দুরামারি এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাই সেখানে সিপিএম প্রার্থী যাতে বাড়তি সুবিধে না পান, সেই লক্ষ্য নিয়ে এলাকায় প্রচার চালালেন গৌতম।

দিনভর প্রচার সেরে রাতে ডুয়ার্স ছাড়েন মন্ত্রী। এ দিন গৌতম বলেন, “চা বাগানে আমাদের খুব ভাল প্রচার চলছে, কোথাও কোনও সমস্যা নেই। মানুষ যে উন্নয়নের পাশে আছেন তা যেখানে গিয়েছি সেখানেই বুঝতে পেরেছি।”

এ দিন প্রচারের ফাঁকে নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুণ্ডা, প্রাক্তন বিধায়ক জোসেফ মুণ্ডা, জেলা পরিষদের মেন্টর অমরনাথ ঝা, এমন চা বলয়ের নেতাদের নিয়ে একাধিক বার আলোচনা করে জরুরি পরামর্শও দেন তিনি। মন্ত্রীর থেকে টিপস পেয়ে নেতারাও বেশ আত্মবিশ্বাসী বলে এ দিন জানালেন জোসেফ মুণ্ডা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE