নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সমানে বেজে চলেছে বঙ্গ বিজেপির থিম সঙ! তবে এ বার কোথাও তা বাজলে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবেন জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারেরা। এই মর্মেই তাঁদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতর। এর পাশাপাশি ‘পোল ভোটের সুযোগ দিন’-এর মতো মন্তব্যের জন্য বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে শো-কজ করা হয়েছে বলে জানান সিইও দফতরের কর্তারা।
বঙ্গ বিজেপির থিম গান বাজানো হয়েছে অনুমোদন ছাড়াই। সেই গানের বাণীও জমা দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু সেই বাণী পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল সিইও দফতর। সেই নির্দেশের ব্যাখ্যা পাওয়ার আগে পর্যন্ত ওই গান বাজানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়। এই পরিস্থিতিতে কোথাও ওই গান বাজলে তা বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে সিইও দফতর। তা বাজলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন। কোথাও গান বাজানো হলে সেই সব সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করতে পারে তারা। পাশাপাশি যিনি গানের বাণী জমা দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও সরাসরি পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন।
অন্য দিকে, ভোট পর্ব শুরু হতেই ‘নকুলদানা’, ‘চোখ’, ‘পাচন’ ‘সিরিঞ্জ’-এর মতো বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন অনুব্রত। তা নিয়ে কয়েক দফায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে শো-কজ করেছে কমিশন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন, ‘‘যাঁরা প্রিসাইডিং অফিসার থাকবেন, তাঁদের বলব, আমরা ‘পোল ভোটটা’ (৫০০-৬০০) করে নেব, আপনারা সেই সুযোগ দেবেন।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই মন্তব্যের জন্য অনুব্রতকে আবার শো-কজ করেছে কমিশন। কিন্তু এর আগে তাঁকে একাধিক বার শো-কজের পরে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন? এই প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সঞ্জয় বসু জানান, রিপোর্ট পাওয়ার পরে তা কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের নির্দেশ অনুসারেই পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy