এক দিকে ভোটারদের প্রতি আহ্বান: সাহস করে নির্ভয়ে ভোট দিন। অন্য দিকে, জেলা পুলিশের প্রতি ক্ষোভ: বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের সকলকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার এক দিন আগে কোচবিহারে এসে সেই বার্তাই দিলেন নির্বাচন কমিশনের রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার ভোটগ্রহণ পর্ব। প্রথম দফায় রাজ্যের দু’টি কেন্দ্রে ভোট হবে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। বিরোধীদের দাবি, এক বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটে এই দুই জেলাতেই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর হয়েছিল মূলত বিজেপির। কোচবিহারে প্রথম থেকেই সংঘর্ষ ও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তপ্ত ছিল হাওয়া। সেখানে এক দিকে মূল তৃণমূল, অন্য দিকে যুব। মনোনয়ন পেশ থেকে শুরু করে ভোটের দিন অবধি সংঘর্ষ চলেছে দু’পক্ষে। এই দীর্ঘ সময়ে কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছেন। জখমের সংখ্যাও কম ছিল না।
কোচবিহারে যুবর মূল চালিকা শক্তি ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনিই এ বারে বিজেপির প্রার্থী। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এই জেলায় ভোটের দিন গন্ডগোলের আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। এ দিন পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন বিরোধী প্রার্থী। নিশীথ যেমন গিয়েছিলেন, তেমনই যান বাম প্রার্থী গোবিন্দ রায় এবং কংগ্রেসের পিয়া রায়চৌধুরীও। জেলা পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন বিবেক দুবে। পরে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। ভোটাররা নির্ভয়ে এসে ভোট দিন।’’একই ডাক দিয়ে বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ‘‘নির্ভয়ে যাকে পছন্দ ভোট দিন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পারবেন, যাকে ইচ্ছে ভোট দিন কথাটা বলতে?’’ তৃণমূল এই কথাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি।