মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিমল গুরুঙ্গদের গ্রেফতার করে জেরার প্রয়োজন নেই বলে হাইকোর্টে জানাল সিবিআই। গুরুঙ্গদের আগাম জামিনের মামলার শুনানিতে শুক্রবার সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার নিজেই এই কথা জানান।
গত বছর কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ওই হত্যা মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করার আট দিনের মাথায় গুরুঙ্গ-সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুরের পরেই গুরুঙ্গরা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি মলয়মরুত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সিবিআইয়ের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে তামাঙ্গের স্ত্রী ভারতীদেবী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর সিবিআই-কে নির্দেশ দেয় তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে সিবিআই গুরুঙ্গ-সহ কাউকেই গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। এখনও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও জমা দেয়নি।
এ দিন, বিচারপতি অসীম রায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার পুষ্পল পালের কাছে জানতে চান, গুরুঙ্গদের গ্রেফতার করে জেরার কি প্রয়োজন রয়েছে? বিমলদের গ্রেফতারই বা করা হয়নি কেন? কী কারণেই বা নিম্ন আদালতে গুরুঙ্গদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়েছিল? সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, এখন আর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জেরার দরকার নেই। মামলার চার্জশিটও পেশ হয়েছে। তা শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা আগাম জামিন পেতেই পারেন। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন মামলার রায় দেয়নি। তবে জানিয়েছে, শুনানি শেষ। আগাম জামিন শর্তসাপেক্ষে হবে কি না, আদালত তা পরে জানাবে। শুনানির শেষ পর্বে বিচারপতি রায় গুরুঙ্গর আইনজীবী শেখর বসুর উদ্দেশে বলেন, ‘‘মামলার বিচার চলাকালীন অন্যত্র যাওয়া যাবে না, এমন শর্তও দিতে পারে আদালত।’’ তা শুনে শেখরবাবু জানান, গুরুঙ্গ জিটিএ প্রধান, তাঁর প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। আদালত যেন সেই দিকটি বিবেচনা করে। তা শুনে ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি মলয়মরুত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তা বিবেচনা করলে, অন্য অভিযুক্তরাও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন
কেন?’’ তামাঙ্গের দল গোর্খা লিগ জানিয়েছে, আজ, বৈঠকের পরে তাঁরা এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা জানাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy