এ দিন ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার। খবর পেয়েই হাসপাতালে আসেন স্থানীয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নবু গোয়ালা। নবুর অভিযোগ, ‘‘থানার তিনশো মিটার দূরে খুন হল।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার। (ইনসেটে) দীপ সাহা। নিজস্ব চিত্র
বাড়ি থেকে দোল খেলতে বেরিয়ে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মৃতের নাম দীপ সাহা (১৬)। কিশোরের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের সুভাষপল্লি এলাকায়। শহরের বাণীতীর্থ হাই স্কুলের ছাত্র ছিল সে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ আইটিআই সংলগ্ন শীতলাডিহি এলাকা থেকে ওই কিশোরের অচেতন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ঘোড়াধরায় বসন্ত উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছিল দীপ। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশকর্মীরা জানান, ওই নাবালককে ঘোড়ধরা পার্কের বাইরে থাকা কিছু যুবক ধাওয়া করেছিল। ছুটতে ছুটতে সে পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, পুরনো বিবাদের জেরে সুভাষপল্লি এলাকার ছেলেদের মারধর করার জন্য পিছু ধাওয়া করছিল শহরের স্টেশন পাড়ার কয়েক জন যুবক। মৃতের বাবা দিলীপ সাহা বলেন, ‘‘আমার ছেলে কোনও দিন ঝামেলা গন্ডগোলে থাকে না। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’’ এ দিন সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম থানায় কৌশিক দাস, অনুরাগ তিওয়ারি ও আয়ুষ যাদব, এই তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার। খবর পেয়েই হাসপাতালে আসেন স্থানীয় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নবু গোয়ালা। নবুর অভিযোগ, ‘‘থানার তিনশো মিটার দূরে খুন হল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। তার জেরেই এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে হারাতে হল।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ওই কিশোরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা কয়েক জনের নাম তদন্তে পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ তবে জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলছেন, ‘‘দু’পক্ষের রেষারেষির কোনও দিকেই দীপ ছিল না। মাঝখানে পড়ে গিয়ে প্রাণ গেল। যে অভিযুক্তদের নাম উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আগেও মামলা ছিল। গ্রেফতার হয়ে জামিন পেয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy