Advertisement
E-Paper

দেশের নয়া মানচিত্র মেনেই প্রশ্ন মাধ্যমিকে

আসন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাঁরা বসছেন, সেই সব পরীক্ষার্থীকে ভারতের পরিবর্তিত নতুন মানচিত্র ভাল করে দেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাঠ্যক্রম কমিটির প্রধান।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪০
নয়া মানচিত্রে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। ছবি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডল থেকে।

নয়া মানচিত্রে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। ছবি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের টুইটার হ্যান্ডল থেকে।

জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি দেশের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সেই নতুন মানচিত্র অনুসারেই রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ম্যাপ পয়েন্টিং করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার।

আসন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাঁরা বসছেন, সেই সব পরীক্ষার্থীকে ভারতের পরিবর্তিত নতুন মানচিত্র ভাল করে দেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাঠ্যক্রম কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘‘নতুন মানচিত্রের ভিত্তিতেই পরীক্ষা হবে। এটা যাতে স্কুল থেকেই ছাত্রছাত্রীদের যথাযথ ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে আমরা স্কুলগুলোর সঙ্গে কথা বলব।’’ এই বিষয়ে তাঁরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানান অভীকবাবু।

ভারতের নতুন মানচিত্র পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে। বাংলার পড়ুয়ারাও যাতে যথাযথ অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেনে নতুন মানচিত্র পায়, সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে চিঠি লিখেছে পাঠ্যক্রম কমিটি। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের নতুন পরিচয় সংবলিত নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র কেন্দ্রের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে ঠিকই। তবে অভীকবাবু বলছেন, ‘‘ওই ম্যাপ দেখে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, নতুন মানচিত্র অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেনে আঁকা হয়নি। তাই আমরা ভারত সরকারের ম্যাপ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ন্যাশনাল অ্যাটলাস থিমেটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশনের’ (ন্যাটমো) ডিরেক্টরকে চিঠি লিখে যত দ্রুত সম্ভব অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেনে মানচিত্র প্রকাশ করতে অনুরোধ করেছি। তা হলেই আমরা পরের পাঠ্যক্রমের ভূগোল বইয়ে তা ছাপতে পারব।’’

আরও পড়ুন: জ্বালানি ভরতে শহরে অতিথি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিমান

অভীকবাবু জানান, ভূগোলের পাঠ্যবইয়ে কোনও ভাবেই পুরনো মানচিত্র ছাপা হবে না। পাঠ্যপুস্তকে নতুন মানচিত্র ছাপাতে হলে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেনেই ছাপাতে হবে। সময় আর বেশি নেই। আগামী ২ জানুয়ারি ‘বই দিবস’। সে-দিন রাজ্য জুড়ে স্কুলগুলিতে বই দেওয়া হয়। ওই ম্যাপ প্রস্তুতকারক সংস্থা অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ মেনে মানচিত্র প্রকাশ করলে তবেই তাঁরা তা ছাপতে দিতে পারবেন। তার পরেই নতুন ভূগোল বই ছেপে জেলায় জেলায় পাঠানো যাবে। চলতি মাসের মাসের মধ্যেই ন্যাশনাল অ্যাটলাস থিমেটিক ম্যাপিং অর্গানাইজেশন থেকে ভারতের নতুন মানচিত্র তাঁদের হাতে চলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পাঠ্যক্রম কমিটির প্রধান।

Education Madhyamik
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy