বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ও তাতে পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসার ‘যোগাযোগের’ অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি বাংলাদেশের এক নাগরিককে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সিংভি এক্স হ্যান্ড্লে ছবি দিয়ে দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের একটি হাইমাদ্রাসার দেওয়া শংসাপত্র ব্যবহার করে অভিযুক্ত ধর্মীয় পরিচয় ‘জাল’ করেছিলেন। হর্ষের ওই টুইট রবিবার ‘রিপোস্ট’ করে সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত।
নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ড্লে সুকান্ত লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলিকে বাংলাদেশি মুসলিমদের হিন্দু করার নথিপত্রের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাদ্রাসাগুলির জন্য ৫,৫৩০ কোটি টাকা বাজেট অনুমোদন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এতে কি তা হলে রাজ্য সরকারের সমর্থন রয়েছে?’ সুকান্তের আরও কটাক্ষ, ‘দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কি বাংলাদেশিদের ব্যবহার করে জনবিন্যাস পরিবর্তন করতে চান?’ সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত ধর্মীয় পরিচয় ‘জাল’ করে শুভ দাস নাম নিয়েছিলেন।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, দেশের ১৪টি রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছে। এর মধ্যে বিজেপি-শাসিত রাজ্যও রয়েছে।” বিজেপিকে বিঁধে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “গত কালই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে কি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেছে যে, বাংলাদেশ থেকে কী করে এখানে এই ধরনের লোকজন আসছে। আর প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন জিজ্ঞাসা করছে না যে, সীমান্তে বিএসএফ থাকলেও এরা ঢুকছে কী ভাবে?”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)