Advertisement
E-Paper

লগ্নি সংস্থা নিয়ে সভায় বিতর্কে সম্মতি মমতার

বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা বন্ধ এবং লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বিধানসভায় সর্বদলীয় আলোচনায় রাজি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের জমি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধেও বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাবে আলোচনায় সায় দিয়েছেন তিনি। সোমবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ১২ জুন, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই দু’টি বিষয়েই সভায় আলোচনা হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৫ ০৩:৫১

বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণা বন্ধ এবং লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে বিধানসভায় সর্বদলীয় আলোচনায় রাজি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের জমি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধেও বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাবে আলোচনায় সায় দিয়েছেন তিনি।

সোমবার বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ১২ জুন, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই দু’টি বিষয়েই সভায় আলোচনা হতে পারে। তবে সরকারি না বেসরকারি প্রস্তাব হিসেবে এই দু’টি বিষয় আলোচিত হবে, তা নিয়ে আগামী ১০ জুন কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে বিধানসভা সূত্রের খবর।

এ দিন কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে কেন্দ্রের জমি অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিধানসভায় আলোচনার জন্য এ দিন দাবি জানান এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর। মমতা তাতে অংশগ্রহণে আগ্রহ দেখান। বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে অর্থলগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের উপরে আলোচনার দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু তার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এ দিন কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তোলেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কী ভাবে আলোচনা হবে, তা নিয়ে শাসক দলই এখনও একমত নয় বলে বিধানসভা সূত্রের খবর।

‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অব ইন্টারেস্ট অব ডিপোজিটর্স ইন ফিনান্সিয়াল এস্টাব্লিশমেন্ট বিল, ২০১৩’ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে বলে গত সপ্তাহেই সভায় জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই অনুমোদন শর্তাধীন বলে পরে সভায় জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাই বিলটি সাধারণ ভাবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে নাকি তার মধ্যে কোনও শর্ত আছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে বিধায়কদের মধ্যেই। কোনটা ঠিক, তার নথি বিধায়কদের দেওয়ারও দাবি এ দিনের বৈঠকে ওঠে।

পরে সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘শাসক দলের কেউই একমত হয়ে বিলটি নিয়ে ঠিক কী বলা হয়েছে, তা বলতে পারলেন না! এতে আমরা অবাক।’’

রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা। বিধানসভায় এ ব্যাপারেও সব দল মিলে আলোচনা চান তিনি। এ দিন প্রসঙ্গটি বৈঠকে ওঠায় বিরোধীরাও আলোচনায় আগ্রহ দেখান বলে সরকারি সূত্রের খবর। তবে এই আলোচনার দিন এখনও স্থির হয়নি।

chit fund bill Chief Minister Mamata Banerjee agree Assembly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy