Advertisement
E-Paper

বালুচরির নকশায় বদল চান মুখ্যমন্ত্রী

রাজেশবাবু জানান, কলকাতায় একটি ‘ডিজ়াইন সেন্টার’ করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৫৯
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।

নকশায় নতুনত্ব এনে বিষ্ণুপুরের বালুচরি শাড়িকে আরও আকর্ষণীয় করতে পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি নিজেই বিষ্ণুপুরের বালুচরি শাড়ির কী অবস্থা সে সম্পর্কে রাজ্যের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডের কাছে জানতে চান। তিনি বলেন, ‘‘বালুচরি শাড়ি হচ্ছে আমাদের ‘জিআই’ প্রোডাক্ট। বালুচরির সিল্ক আগে কড়কড়ে ছিল। আমি বলে বলে হালকা করিয়েছি। কারণ, মেয়েরা এখন হালকা শাড়ি পরতে ভালবাসে।’’ এর পরেই তিনি বালুচরির নকশা পাল্টাতে বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘বালুচরিতে একই ধরনের নকশা থাকে। এই নকশায় বৈচিত্র নিয়ে এসো। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলো।’’

রাজেশবাবু জানান, কলকাতায় একটি ‘ডিজ়াইন সেন্টার’ করা হয়েছে। তাঁতিদের সেখান থেকে প্রতি বছর নতুন নকশা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে কী ধরনের নকশার কদর রয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁতিদের ধারণা দেওয়া দরকার। তাতে এই জিনিসগুলো বাইরে বিক্রি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই জেলার মৃৎশিল্প, ডোকরা শিল্পেও নজর দিতে নির্দেশ দেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর এই উৎসাহে খুশি রাজ্য হস্তশিল্প (নকশা) প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত বিষ্ণুপুরের অমিতাভ পাল, সোনামুখীর প্রিয়গোপাল পালের মতো বালুচরি শিল্পীরা। অমিতাভ বলেন, ‘‘বালুচরি শাড়ির ওজন খুব কমেনি। তবে নকশায় বৈচিত্র আনায় চাহিদা যথেষ্ট ভাল।’’ প্রিয়গোপালবাবু জানান, বছর দুই আগে সরকারি ভাবে নকশা পেয়েছিলেন। তবে তিনি নিজেও নতুন নকশা তৈরি করছেন।

Baluchari Saree Mamata Banerjee Business
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy