রাজভবনের সামনে যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার রাম রাজ্যের কথা বলে ‘কিলিং রাজ’ চালাচ্ছে বলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে কৃষক-হত্যার ঘটনার প্রেক্ষিতে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি-শাসিত ওই রাজ্যে ‘স্বৈরতন্ত্র’ চলছে। বিরোধীদের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। যোগীর পদত্যাগ ও লখিমপুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবিতে সোমবার শহরের নানা জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস ও কৃষক সংগঠনগুলি।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বিপুল জয়ের পরে সোমবার কৃতজ্ঞতা জানাতে গুরুদ্বার দর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। উত্তরপ্রদেশের ঘটনা প্রসঙ্গে সেখানেই মমতা বলেন, ‘‘এরা রাম রাজ্যের কথা বলে ‘কিলিং রাজ’ চালাচ্ছে! স্বৈরতন্ত্র চলছে। নৃশংস ভাবে কৃষকদের হত্যা করেছে। তার পরে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ওরা চায় না, কেউ দেখতে যাক, মানুষকগুলোর সঙ্গে কথা বলুক। দেশের মানুষের উচিত ওদের (বিজেপি সরকার) বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা!’’ মমতার আরও তোপ, ‘‘মানবাধিকারের সর্বনাশ করেছে। গণতন্ত্র মানে না। আমরা দল পাঠিয়েছি। দেখা না করতে দিলে ভবিষ্যতে দেখা করব। হাথরসের সময়েও আমাদের সাংসদদের দেখা করতে দেয়নি। অসমে, ত্রিপুরাতেও একই অবস্থা তৈরি করেছে।’’
কৃষক-হত্যার প্রতিবাদে এ দিন মৌলালি মোড়ে বিক্ষোভ-সভার ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখা। কৃষক সংগঠনগুলির পাশাপাশি যোগ দিয়েছিল নানা গণসংগঠনও। সিপিএমের কৃষক সভার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা, অভীক সাহা, কার্তিক পাল, তুষার ঘোষ, সমীর পূততুণ্ড-সহ নানা সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, বিজেপির সরকার উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘কদর্য, ফ্যাসিস্ট চেহারা’ প্রকাশ করছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আরও এককাট্টা হবেন। সন্ধ্যায় মৌলালি মোড়েই প্রদেশ কংগ্রেসের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। সেখানে ছিলেন এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক ও সাংসদ মহম্মদ জাভেদ, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, সুমন পাল, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ প্রমুখ। যোগী প্রশাসন যে ভাবে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আটক করেছে, তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে। আহত হন কয়েক জন কংগ্রেস কর্মী। বিক্ষোভকারীদের এন্টালি ও তালতলা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
একই কারণে রাজভবনের সামনে প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়। সেখানেও যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তুলসী মুখোপাধ্যায়, টালিগঞ্জ ফাঁড়িতে আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়েরা বিক্ষোভে নামেন। সর্বত্রই পোড়ানো হয় যোগীর কুশপুতুল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘‘উত্তরপ্রদেশে তালিবান রাজত্ব চলছে!’’
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে ‘আড়াল’ করতে নেমে এ রাজ্যের বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘এখানেও ভোট-পরবর্তী হিংসায় অনেকে মারা গিয়েছেন, আহত হয়েছেন, ধর্ষিতা হয়েছেন। নিজের ঘর পরিষ্কার করতে না পারলে অন্য জায়গায় গিয়ে কী করবেন?’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখানে তো মুখ্যমন্ত্রী যখন ভবানীপুরের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন, তখন ১৪ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তখন উনি (মমতা) টুইট করেননি, ক্ষতিপূরণও দেননি!’’
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে ‘আড়াল’ করতে নেমে এ রাজ্যের বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘এখানেও ভোট-পরবর্তী হিংসায় অনেকে মারা গিয়েছেন, আহত হয়েছেন, ধর্ষিতা হয়েছেন। নিজের ঘর পরিষ্কার করতে না পারলে অন্য জায়গায় গিয়ে কী করবেন?’’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখানে তো মুখ্যমন্ত্রী যখন ভবানীপুরের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন, তখন ১৪ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তখন উনি টুইট করেননি, ক্ষতিপূরণও দেননি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy