Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপিকে দায়ী করে ভাটপাড়ায় দল মমতার

ভাটপাড়ার অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও নামছে তৃণমূল।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ০১:৪১
Share: Save:

উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় লাগাতার হিংসার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি জিতলে ভাটপাড়ার মতো ঘটনা হয়।’’

ভাটপাড়ার অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও নামছে তৃণমূল। কাল, শুক্রবার তৃণমূলের পরিষদীয় প্রতিনিধিদল ভাটপাড়া অঞ্চলে যাবে। তার আগে বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্কে ভাটপাড়ার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময়ই তাঁর দিকে পাল্টা আঙুল তুলে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপনারাই তো প্রশ্রয় দিয়েছেন।’’ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের কথা ইঙ্গিত করে তাঁরা বলেন, ‘‘দলে যখন ছিল, তখন তৃণমূল প্রশ্রয় দিয়েছে। আপনারা প্রশ্রয় দিয়েছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীও নাম না করে বলেন, ‘‘আমাদের দলে যখন ছিলেন, তখন কন্ট্রোলে ছিলেন।’’ মুখ্যমন্ত্রী পরে জানান, ভাটপাড়ার গোলমালে যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের ৫৯ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আরও ২৫০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

দলের কর্মসূচি জানিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘ভাটপাড়ায় যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে, তাতে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি দেখতে শান্তি প্রতিষ্ঠার আবেদন নিয়ে এই প্রতিনিধিদল যাবে।’’ বিজেপি নেতা মুকুল রায় এ দিনই একটি তালিকা দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটের পরে রাজ্যে ১৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ভাটপাড়া দখল করতে শাসক দল ও পুলিশ মিলিত ভাবে হিংসার আশ্রয় নিয়েছিল। ভোটের পরেও হার মানতে না পেরে তারা তা চালিয়ে যাচ্ছে।’’ সারা রাজ্যেই হিংসার জন্য তিনি তৃণমূলকে দায়ী করেছেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE