মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানি। ফাইল চিত্র।
১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তাজপুর বন্দর তৈরির ছাড়পত্র দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে নতুন সমুদ্র বন্দর গড়ার দায়িত্ব পেলেন আদানি গোষ্ঠী। ফলে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বিধানসভায়পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘লেটার অফ ইনটেন্ড’ হাতে দিয়ে তাঁদের আহ্বান জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই তাজপুরে বন্দর করার জন্য টেন্ডার ও ডিপিআর প্রসেস চলছিল। দু’জন অংশগ্রহণ করেছিল এ বিষয়ে। তাজপুর বন্দর করতে সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছেআদানি গোষ্ঠী।’’
১৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে তৈরি এই বন্দরের প্রাথমিক ভাবে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করবে রাজ্য সরকার। বাংলায় প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দরের পরিকাঠামো গড়তে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হবে নতুন এই বন্দরটি। তাজপুর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তৈরি হবে এই বন্দরটি তৈরি হলে প্রত্যক্ষ ভাবে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডানকুনি ও রঘুনাথপুর শিল্পনগরী থেকে এই বন্দরে যাতায়াত অতি সুবিধাজনক বলেই দাবি করেছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও এই বন্দর দিয়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জলপথে বাণিজ্য করা সম্ভব হবে।
চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতি গৌতম আদানি তাজপুর বন্দর নিয়ে তাঁর আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই রাজ্য সরকার নিশ্চিত ছিল যে আদানি গোষ্ঠীর পশ্চিমবঙ্গে বড়সড় বিনিয়োগ করতে চলেছে। সোমবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy