প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা নিয়ে এর মধ্যেই কেন্দ্রকে প্রতিবাদ চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বারে সোমবারের প্রশাসনিক বৈঠকেও প্রসঙ্গটি তুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্য পুলিশের বিষয়। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কিছু করার নেই। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কিছু বিশেষ লোকজন বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির সুবিধা ভোগ করবেন। কারও নাম অবশ্য তিনি করেননি।
সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় জানান, এর আগেও বিএসএফ বালুরঘাট, হিলি বা কোচবিহারে ঢুকে এসে গুলি চালিয়েছে। তার পরেই বলেন, কাউকে কাউকে গাড়িতে করে ঘোরানোর ঘটনাও ঘটেছে। এ দিন শিলিগুড়িতে শাখা সচিবালয়ে মমতা বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে। সেখানে এই প্রসঙ্গ তোলার আলাদা তাৎপর্য দেখছেন রাজনীতির লোকজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, জনসভায় বলা এক রকম, আর প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি উল্লেখ করা আর এক ব্যাপার। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এ দিন মমতা ফের বলেন, ‘‘আমরা আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি দিয়ে দিয়েছি। পঞ্জাব-সহ অন্য রাজ্যগুলিও তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন।’’
বাংলাদেশ ছাড়াও উত্তরবঙ্গে সীমান্ত আছে নেপাল, ভুটানের সঙ্গেও। আলিপুরদুয়ার থেকে দার্জিলিং, শিলিগুড়ি মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। সম্প্রতি কেন্দ্র বিএসএফের এক্তিয়ারে থাকা ১৫ কিলোমিটার বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছে। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল। তাই এখানে এক্তিয়ার বাড়ানোর দরকার নেই।’’ এ দিন মমতা পুলিশকে নাকা চেকিং বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, প্রয়োজনে সরকারি, প্রেস স্টিকার দেওয়া গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্সও তল্লাশি করে দেখতে হবে। দেখতে হবে । তাঁর কথায়, এক দল গোলমাল বাধানোর ছক কষছে। তাই প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy