Advertisement
E-Paper

মার্চ পড়তেই নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণের তোড়জোড়

আগামী ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ডের দিনটি প্রতি বারের মতো এ বারও পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বিঁধছে, এ বার তৃণমূলের শহিদ স্মরণ জোরাল ভাবেই হবে। সামনে যে লোকসভা ভোট!

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০২:৪১
আগামী ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ডের দিনটি প্রতি বারের মতো এ বারও পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

আগামী ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ডের দিনটি প্রতি বারের মতো এ বারও পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

মার্চ মাস পড়ে গিয়েছে। ফের শাসক শিবিরে নন্দীগ্রাম নিয়ে তৎপরতা শুরু।

আগামী ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ডের দিনটি প্রতি বারের মতো এ বারও পালনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বিঁধছে, এ বার তৃণমূলের শহিদ স্মরণ জোরাল ভাবেই হবে। সামনে যে লোকসভা ভোট!

২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের জমিরক্ষা আন্দোলন, ওই বছর ১৪ মার্চ গুলিকাণ্ডের জেরে ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে জয়যাত্রা শুরু করেছিল তৃণমূল। রাজ্যে পালাবদলের ক্ষেত্রেও নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। প্রতি বছরই ১৪ মার্চ শহিদদের স্মরণসভা হয় নন্দীগ্রামের মাটিতে। এ বারও তার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রামে প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এ বার ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির পাশাপাশি দলীয় ভাবেও কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তত দিনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে। তাই মাইক ব্যবহারেও বিধিনিষেধ থাকছে না। তৃণমূলের এক সূত্রে খবর, ১৪ মার্চ সকালে অধিকারী পল্লি ও সোনাচূড়ায় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হবে। আর বিকেলে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের মাঠে দলীয় ব্যানারে হবে সভা।

বিরোধীদের অভিযোগ, নন্দীগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে শাসক তৃণমূল আদৌ ভাবিত নয়। শুধু বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে নন্দীগ্রামের স্মৃতি। বিরোধীরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, নন্দীগ্রামের দু’টি ব্লকে এখনও বেশ কিছু রাস্তা কাঁচা। স্কুল-কলেজেরও ঘাটতি রয়েছে। রেল থেকে কারখানা— কিছুই কিন্তু পায়নি জমি আন্দোলনের ভূমি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির কথায়, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ছাড়া কিছুই হয়নি। তাও সেখানে চিকিৎসক থাকেন না। তবে বাসিন্দাদের উন্নয়ন না হলেও, এলাকার তৃণমূল নেতাদের বিলাসবহুল বাড়ি হয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি (তমলুক) প্রদীপকুমার দাসেরও বক্তব্য, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ শাসক দলের ভাঁওতা বুঝতে পেরেছেন। সাপুড়ের ওষুধ বিক্রির মতো ওরা শুধু ন্যায় বিচারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়।’’

তৃণমূল অবশ্য এ সবকে বিরোধীদের অপপ্রচার বলেই কটাক্ষ করেছে। নন্দীগ্রামের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পালের বক্তব্য, ‘‘জমি আন্দোলনের পর থেকে প্রতি বছর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিশেষ দিনগুলিতে স্মরণসভা হয়। এ বছর ১৪ মার্চও সেই স্মরণসভা হবে। এটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়।’’

Nandigram TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy