আগামী বৃহস্পতিবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তম উদ্যানে মমতা এলাকার বাছাই করা ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন। -ফাইল চিত্র।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করেও প্রচারের ক্ষেত্রে প্রচুর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহৎ জনসমাবেশ যেমন করা যাবে না, তেমনই করা যাবে না বড় মিছিল বা রোড শো। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের প্রচারের ক্ষেত্রে জোর দিতে হচ্ছে ছোট ছোট সভায়। ইতিমধ্যে চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে একটি কর্মিসভা করেছেন তিনি। তবে তা ছিল দলীয় কর্মীদের জন্য। এ বার তাঁর লক্ষ্য ভবানীপুরের ভোটাররা। তাই উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতারা প্রত্যেক ওয়ার্ডে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ঘরোয়া বৈঠকের সূচি তৈরি করছেন। ভবানীপুর বিধানসভায় রয়েছে কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ড। কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছনো সম্ভব না হলেও প্রত্যেক ওয়ার্ডে পৌঁছতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই মতো রণনীতি তৈরি করতে রবিবার রাতে ভবানীপুরের পার্টি অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমরা। সেখানেই ঠিক হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তম উদ্যানে মমতা এলাকার বাছাই করা ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন।
পরবর্তী ক্ষেত্রে বৈঠক করে বাকি সাতটি ওয়ার্ডে তৃণমূল নেত্রীর ঘরোয়া সভার সূচি ঠিক করা হবে। সভা আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশনের কড়া নির্দেশ মাথায় রাখতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও প্রার্থী যদি কোভিডবিধি ভেঙে প্রচার করেন, তবে তাঁকে আর এই উপনির্বাচনে প্রচার করতে দেওয়া হবে না। তাই প্রচার সভায় আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানী পদক্ষেপ করতে চাইছে তৃণমূল। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত বিধি মেনে যাতে এই সভার আয়োজন করা যায়, তার দায়িত্ব দেওয়া হবে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের। তা ছাড়া, প্রচারসূচি এমন ভাবে তৈরি করতে হচ্ছে, যাতে তার প্রভাব মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক কাজকর্মে না পড়ে। কারণ, ভোট প্রচারের সঙ্গে তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই একটি ওয়ার্ডের কর্মসূচি সম্পন্ন হলে পরবর্তী ওয়ার্ডের কর্মসূচি স্থির করা হবে বলেই দলীয় সূত্রের খবর।
ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রার্থী হিসেবে মমতা চেয়েছিলেন প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছে যেতে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে তেমনটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ছোট ছোট সভা করে তৃণমূল নেত্রী নিজের কথা বলবেন। বাকি প্রচার দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ভাগ করে নিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy