পয়লা বৈশাখের আগের সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
প্রতি বছরের মতো এ বারও পয়লা বৈশাখের প্রাক্ সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মন্দিরে আসেন ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় ও মমতার দুই ভ্রাতৃবধূ লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি পুর নির্বাচনে জিতে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছেন কাজরী। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই মন্দিরের গর্ভগৃহে গিয়ে পুজো দেন মমতা। পুরোহিতদের থেকে প্রদীপ নিয়ে আরতিও করেন তিনি। পুজো দিয়ে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানেই নিজের বক্তব্যে জানিয়ে দেন, কালীঘাটের স্কাইওয়াকের জন্য ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন পুজো দিতে আসি। এ বারও এসেছি। তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে আমরা সেখানকার উন্নয়ন করেছি। অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম, গঙ্গাসাগর মন্দিরের ক্ষেত্রেও আমরা কাজ করেছি। দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করে, হকার ভাইদের পুনর্বাসন দিয়েছি। কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরি হচ্ছে। তার জন্য আমরা ৩০০ কোটি টাকা খরচ করছি।’’ স্কাইওয়াক নির্মাণ অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যে কারণে কালীঘাটের বহু দোকনদার ও হকারকে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে যতীন দাস পার্কে অস্থায়ী দোকান করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্কাইওয়াক তৈরি হয়ে গেলে দোকানদার ও হকারদের আবার এখানে বসার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
কালীঘাট মন্দির কমিটির সহ সভাপতি বিদ্যুৎ হালদার বলেন, ‘‘প্রতি চৈত্র সংক্রান্তিতে অনেক রাতে পুজো দিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ বছর অনেক আগে এসে পুজো দিয়ে গেলেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আগেই তাঁর আসার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। প্রায় ২০ মিনিট আমাদের মন্দিরে ছিলেন তিনি। ভাল ভাবে পুজো দিয়ে মন্দিরের বাইরে থাকা সবাইকে প্যাঁড়া প্রসাদও বিলিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy