E-Paper

রাতে পথে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ মমতার

কয়েক দিন আগে জাতীয় সড়কের উপর হওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ এ দিন তিনি না টানলেও, প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের অনুমান, সেই ঘটনার রেশই থেকে গিয়েছে তাঁর নির্দেশের নেপথ্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৭
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জাতীয় সড়কের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত নজরদারি এবং পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন সভাঘরে শিল্প সংক্রান্ত একটি বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, নজরদারি বাড়াতে হবে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত বিষয়ে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে থাকতে হবে সিসি ক্যামেরা।

কয়েক দিন আগে জাতীয় সড়কের উপর হওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ এ দিন তিনি না টানলেও, প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের অনুমান, সেই ঘটনার রেশই থেকে গিয়েছে তাঁর নির্দেশের নেপথ্যে।

জাতীয় সড়কে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় (২৭)। যা নিয়ে শোরগোল হয়েছে বিস্তর। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গে একটি কথা না বললেও, পুলিশের উদ্দেশে সড়ক নিরাপত্তার নির্দেশটি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। যাঁদের কাজ দিন এবং রাতের ব্যবস্থাপনায় নজর রাখা। মমতা বলেন, “ওয়াচ-টাওয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে রাতে তা থেকে নজরদারি রাখতে হবে। ব্ল্যাক-স্পটগুলিতে (দুর্ঘটনাপ্রবণ চিহ্নিত এলাকা) থাকতে হবে সিসি ক্যামেরা।”

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, পূর্ত এবং পরিবহণ দফতরের সঙ্গে পুলিশ সম্মিলিত ভাবে এই ‘ব্ল্যাক স্পট’ নির্ধারণ করে থাকে। সেই এলাকার সুরক্ষার জন্য থাকার কথা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। যাতে সাধারণ যাত্রীরা সেই জায়গাগুলি নিরাপদে পার হতে পারেন। সেই কাজই যাতে আরও দক্ষতার সঙ্গে করা হয়, এ দিন সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিছক দুর্ঘটনা বললেও সেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনেকটাই। অতীতে রাতে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা চালু করেছিল রাজ্য সরকার। সে জন্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী এবং গাড়িও প্রস্তুত হয়েছিল। তার পরেও এমন ঘটনা কেন ঘটবে, তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। যার রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। সেই দিক থেকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ আধিকারিকদের অনেকে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nabanna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy