সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বকে কাজে লাগিয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিপাকে ফেলতে হবে— সংসদ শুরু হওয়ার আগে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র শরিকদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, গত দু’বছর বিরোধীদের কন্ঠস্বর রুদ্ধ করে রেখেছে মোদী সরকার। বিরোধী প্রস্তাবিত কোনও বিষয়ে সংসদে আলোচনায় সম্মতি দেয়নি। তবে একমাত্র প্রশ্নোত্তর পর্বই রয়েছে, গণতন্ত্র বাঁচানোর অস্ত্র হিসেবে যাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ বিষয়ে দলের অবস্থানকে তুলে ধরে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন আজ বলেন, ‘‘২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনেও বিরোধীদের সরকারের অপশাসনকে সামনে নিয়ে এসেছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণত সংসদীয় অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ১৮-২০ দিন আগে। কিন্তু এ বার বাদল অধিবেশনের তারিখ ৪৫ দিন আগে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কারণ খুব সহজ। পহেলগাম কাণ্ড নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন দাবি করেছিল বিরোধীরা। সেটা এড়াতেই তড়িঘড়ি বাদল অধিবেশনের ঘোষণা।’’
ডেরেকের কথায়, ‘‘আগামী অধিবেশনে মোট ২১ ঘণ্টা করে প্রশ্নোত্তরের সময় থাকবে লোকসভা ও রাজ্যসভায়। অধিবেশন কক্ষে গড়ে প্রতিদিন ৯টি করে প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রীদের দিতে হয়। লিখিত উত্তর আসে ৪০০টি করে।’’ প্রশ্নোত্তর পর্বের গুরুত্ব বোঝাতে তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের অটল পেনশন যোজনা সংক্রান্ত প্রশ্নের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যার উত্তরে মোদী সরকার বলতে বাধ্য হয়েছিল, যোজনা শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত ১.১১ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাসের সমগ্র শিক্ষা অভিযান নিয়ে প্রশ্নেরও উল্লেখ করেন ডেরেক। যার উত্তরে দেখা গিয়েছিল, বাংলার জন্য ১৭৪৬ কোটি টাকা, কেরলের জন্য ৩২৯ কোটি টাকা ধার্য হয়েছিল। কোনও টাকাই এই দুই রাজ্যকেদেওয়া হয়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)