মুখ্যমন্ত্রী: সোমবার মিরিকের সভায়। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
পাহাড়ে প্রথম পা রেখেছে দল। তার পরে তিনি যে সভা থেকে কিছু না কিছু উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেবেন, তা প্রত্যাশিতই ছিল পাহাড়ের কাছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিরিকের জন্য এক লপ্তে পাঁচ খাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে এবং এক মাসের মধ্যে কাজ করে দেখানোর অঙ্গীকার করে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিমল গুরুঙ্গদের। এবং আসন্ন জিটিএ ভোটের প্রচারও শুরু করে দিলেন পুরোদমে।
এ দিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা। পাহাড়ে তাঁর জন্য কালো পতাকা থেকে আলো নেভানোর ব্যবস্থা, সবই রেখেছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। বক্তৃতায় কোনওটাই বাদ দেননি মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘রাস্তায় দেখলাম ৮-১০ জন কালো পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাড়ি থামিয়ে তাদের ডাকলাম। অমনি পালিয়ে গেল! কী ভীতু রে বাবা!’’
মোর্চা ডাক দিয়েছিল, মিরিক থেকে যখন মমতা দার্জিলিঙে যাবেন, তাঁর পথের কোথাও যেন আলো না জ্বলে। প্রকারান্তরে সে প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘‘নিজেরা আলোয় থাকবে, আর অন্যদের জন্য লোডশেডিং!’’ কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, পথে কয়েকটি দোকান বন্ধ থাকলেও আলোর অভাব হয়নি।
আরও পড়ুন: গুরুঙ্গকে ভাষার গুগলি মমতার
গুরুঙ্গদের এ দিন নাম না করে বারবার বিঁধেছেন মমতা। কখনও বলেছেন, ‘‘ওরা ভগবান নয়, শয়তান!’’ কখনও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে টক্কর দিতে এসো না!’’ তবে জিটিএ ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই যে গুরুঙ্গদের জন্য চাপ বাড়বে, সেটা বুঝিয়ে দিতে কসুর করেননি। মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলার উল্লেখ তো করেইছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, জিটিএ-র হিসেবনিকেশ খতিয়ে দেখতে স্পেশ্যাল অডিট হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কোচবিহারে অভিযোগ উঠেছিল। নিজের দলের চেয়ারপার্সনকে সরিয়ে দিয়েছি। কেউ কিন্তু ছাড় পাবেন না!’’
জবাবে মোর্চা নেতা রোশন গিরি শুধু বলেন, ‘‘এখনই কিছু বলতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy