মমতাময়ী: আসানসোলে নতুন জেলা ভাগের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পের বাড়ি বা ‘সমব্যথী’ প্রকল্পের অর্থসাহায্য—ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যের সব সরকারি প্রকল্পের পরিষেবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ‘জন্মদিনের’ মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘চলতি বছরে নানা সরকারি পরিষেবা পৌঁছতে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলাকে করতে হবে। কোনও অজুহাত চলবে না।’’ তিনি জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে নির্দেশও শীঘ্রই সব জেলায় পৌঁছবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে চলতি বছরের নানা প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার কথা। মমতা অবশ্য বলেন, ‘‘তাড়াতাড়ি কাজ চাই। তাই আর্থিক বছর শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষার মানে হয় না।’’
আরও পড়ুন: রাজ্যে মদের দোকানের ঝাঁপ কি ভূতে খুলেছে!
সব ঠিক থাকলে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূলের অন্দরের খবর, চলতি বছর শেষে বা নতুন বছরের শুরুতে পঞ্চায়েত ভোট ধরে বিভিন্ন জেলার নেতারা কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসনিক কাজে গতি এলে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুযোগসুবিধে যত বেশি করে গ্রামের ঘরে-ঘরে পৌঁছবে, পঞ্চায়েতে দলের ভোট-বাক্স তত ভারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। বিরোধীদেরও টিপ্পনী, সেই প্রেক্ষিতেই গ্রামস্তরে সরকারি পরিষেবা দ্রুত পৌঁছনো নিশ্চিত করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষ হতেই সালেমা বেওয়া, মমতাজ বেওয়ার মতো কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তাঁরা সরকারি প্রকল্পে পোষার জন্য হাঁস-মুরগির ছানা চান। কিন্তু ব্লক অফিস বা পঞ্চায়েতে গেলে তাঁদের বলা হচ্ছে, সে ব্যাপারে সরকারি নির্দেশ আসেনি। সে কথা কানে যেতে তৃণমূলের বর্ধমানের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। আপনাদের আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy